রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

গণমাধ্যম নিয়ে ৭ কূটনীতিকের মন্তব্য হতাশাজনক ও অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০
  • ১৮২ বার পঠিত

অনলাইন ডেক্স: মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা সাত রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক, হতাশাজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শুক্রবার (৮ মে) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা সেটা কূটনৈতিক উপায়েই বলতে পারতেন।

করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ মে) আলাদা আলাদা টুইট করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েজ, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোট স্লাইটার ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন।

দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের কোনো ‘ভূমিকা’ দেখেননি জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমরা আমাদের মতো করে দেশ পরিচালনা করছি। আমি খুবই হতাশ। এটা খুবই হতাশাজনক এবং দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাকস্বাধীনতার মর্যাদার সঙ্গে দায়বদ্ধতার বিষয়টি জড়িত।

তিনি বলেন, তারা যদি পোশাকশিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে কিছু বলেন, অথবা আমাদের অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিয়ে এবং অন্তত ছয় মাস তাদের চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলেন, তবে খুশি হবে বাংলাদেশ।

এর আগে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তার টুইটে লেখেন, ‘সব জায়গায় জনস্বার্থ সুরক্ষায় অবাধ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচারের সুযোগ থাকা দরকার। তাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা যেমন জরুরি, তেমনি গণমাধ্যমকর্মীর কণ্ঠও যেন রোধ করা না হয়।’

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন টুইটে লেখেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখাটা এখন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে, সেই সঙ্গে গণমাধ্যমও যেন তার দায়িত্বটা পালন করতে পারে।’

ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক তার টুইটে লেখেন, ‘সংকটের সময়ে এসে গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। জনগণের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য পাওয়ার সুযোগ পাওয়ার প্রয়োজন। গুজব যখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, সে সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধে ও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া উচিত।’

করোনাভাইরাস সংকটের সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা দেয়ার কথা উঠে আসে বাকি চার কূটনীতিকের টুইটেও।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com