নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিমান বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোহেল রেজা দক্ষিণ খান থানার অর্ন্তগত ৪৯ নং ওয়ার্ড তথা আসকোনা এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন সোহেল। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই তিনি মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছার কথা জানান প্রতিবেদকে। তার কয়েক দিন পরই প্রথম দফায় তিন শতাধিক পরিবারকে ১ সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। পরের কয়েক দফায় এ সহায়তা আরো বাড়িয়েছেন তিনি। এর বাইরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজনকে গোপনে সহায়তার একটি সেল খোলেন তিনি। এ সেল থেকে কাউকে সহায়তা নিতে আসতে হয় না। লোকজন ফোন করলে প্রয়োজন মতো খাবার বা টাকা পয়সার জোগানও দিয়ে যাচ্ছেন। তবে মধ্যবিত্তের এ সহায়তার বিষয়টি বেশ গোপনীয়তার সঙ্গে করে যাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোষ্টে বলেন, আমাদের আশে-পাশে বা পরিচিত পরিসরে যেসব মধ্যবিত্ত পরিবার সমস্যায় আছেন, তাদের পাশে থাকতে চাই, সহায়তা নেওয়া লোকজনের পরিচয় কোনওভাবেই প্রকাশ করার সামান্য ইচ্ছা তার নেই। কোনদিনও সেটি প্রকাশ করতে চান না।
এ নিয়ে সোহেল রেজা প্রতিবেদককে বলেন, গরীবের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের মাঝে সহায়তার বিষয়টি প্রথম থেকেই তার মাথায় ছিল। এজন্য শুরুতেই তার বাড়িতে থাকা বাড়াটিয়ার কাছ থেকে এখনো ভাড়া নেননি তিনি। মধ্যবিত্তের জন্য করা ফান্ড থেকে অনেককেই সহায়তা করছেন তিনি। কিন্তু কাকে করছেন, বা তারা প্রকৃত অসহায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার সাথে যুক্ত হয়ে আমি বুঝতে পারছি মানুষ কতোটা অসহায় হয়ে আছে। সামর্থ্য থাকলে আরও বড় পরিসরে করতাম।
এর বাইরে আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল তার মালিকানাধীন একটি পুকুর সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শুধু বড়শি দিয়ে মাছ ধরে নিজেদের পরিবারের খাওয়ার সমপরিমান মাছ তুলে নিতে দিচ্ছেন তিনি। আসকোনা এলাকায় তার বাড়ির পেছনের পুকুরটি থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মাছ বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু করোনার একালে তিনি এবার তার আশা করছেন না। গরীব মানুষের সহায়তায় সেটিও তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন। তবে জাল ব্যবহার করে মাছ ধরতে দিচ্ছেন না তিনি। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, গরীব সেজে বেশি মাছ ধরে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে ইসলামী অনুসাশনে বিশ্বাসী এ নেতা সৌদি আরবের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও একজন তরুণ সমাজ সেবক।