অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
রোববার (২৮ জুন) অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। যেখানে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব আর কে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাজেটে করোনা প্রকোপকাল ও প্রভাবকালীন সময়ের জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ ও দই-মিষ্টি খাতকে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেওয়া।
সাধারণ ছুটি সংক্রান্ত ২৮ মে জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধনের খাদ্য, খাবার ও সেবার সঙ্গে ‘হোটেল-রেস্তোরাঁ’খাত স্পষ্ট করা।
করোনাকালে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির যে বিল জমবে তা ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ হারে আদায় করা। এখন বকেয়া বিলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা।
পোশাকখাতের মতো স্বল্প সুদে রেস্তোরাঁ মালিকদের ঋণ সহায়তা দেওয়া।
সরকার নিম্নআয়ের মানুষকে যে সহায়তা দিচ্ছে তার আওতায় রেস্তোরাঁ শ্রমিকদেরও সহায়তা দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে রেস্তোরাঁর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। এতে কাজ করেন ২০ থেকে ২২ লাখ শ্রমিক। শ্রমিকেরা এখন গ্রামে ফিরে অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন খন্দকার বলেন, সাধারণত রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখন যেহেতু দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে, তার সঙ্গে রেস্তোরাঁগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদ্যোগ হিসাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। সেজন্য আমাদের দাবিগুলো বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঋণের বিষয়ে বলা হয়, ঋণের জন্য বেসরকারি ব্যাংকে গেলে ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন করতে বলা হয়। আর সরকারি ব্যাংকে গিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। রেস্তোরাঁগুলো ব্যাংক থেকে কখনো ঋণ পায়নি। এখন ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তা রেস্তোরাঁ মালিকেরা পাচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মৃধা, যুগ্ম মহাসচিব ইমরান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খান।