সুজন সারোয়ার,টঙ্গী : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের হিরিক পড়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এইসব ভবন নির্মাণ করছে। অনুমোদন ছাড়াই অসংখ্য বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশন গোটা শহর জুড়ে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে ঝুঁকিপূর্ণ শহরে রূপান্তরিত হবে গাজীপুর। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনও পরিকল্পিত নগরায়ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। শহরের নির্মাণ সেক্টর সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে রয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে আরেকটু খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে সরেজমিনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫২ নং ওয়ার্ড মুদাফা কালিয়ার মাজারের উত্তর পাশে মো, আরিফ হোসেন এর পিতা মো, আলতাব হোসেন আলামিনের নির্মাণাধীন ভবনের অনুমোদনের বিষয়ে তার কন্ট্রাক্টার ইমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২তলা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন অনুমোদন নিতে হয় না। এ বিষয়ে একাধিক ভবন মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সবাই যে ভাবে ভবন নির্মাণ করছেন, আমরাও সেইভাবেই করছি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভবন নির্মাণে অনুমোদনের দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউকের আওতাধীন। রাজউকের লোকবল সঙ্কটে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতা ও অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেয়ার প্রবণতা থাকার কারণে দিনদিন অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণে জনগণ উৎসাহিত হচ্ছে। অনেকেই সাবেক পৌরসভার অবৈধ প্ল্যান নিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ ৭ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পুরোনো পৌর প্ল্যানের অনুমোদনে ভবন নির্মাণ করছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু নামধারী কনসালট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার যারা একটি ভবনের নকশা তৈরির কাজ করেন তারাই নাকি সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্তা ব্যক্তিদেরকে মেনেজ করে সাবেক পৌর মেয়রের স্বাক্ষরিত অনুমোদনপত্র ব্যবস্থা করে দেন। এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবৈধ ভবনগুলোতে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। তবে লোকবল সমস্যা কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আপনারা এ বিষয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করতে পারেন।