জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একইসঙ্গে এই ঘটনাকে ‘ক্রসফায়ার’ সংস্কৃতির অবারিত বিকাশের উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা’ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
টিআইবি বলছে, এই ঘটনায় পুলিশের করা একাধিক মামলার সঙ্গে সেনাবাহিনীর ‘প্রাথমিক তদন্তের’ বক্তব্য একেবারেই বিপরীত। এই বৈপরীত্যগুলো যথাযথভাবে আমলে নিয়ে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করে জনগণকে জানাতে হবে আদতেই পুলিশ ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি চালিয়েছিল কি-না। নিহতের সঙ্গী শিক্ষার্থী ও অন্যসব সম্ভাব্য সাক্ষীর নিরাপত্তাসহ সব অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, ২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানে গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত শুধু কক্সবাজার জেলায় পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে শতাধিক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৮৭ জন। অথচ দেশের সংবিধান সব নাগরিকের আইনি সুরক্ষা পাওয়ার যে অধিকার দিয়েছে, তাতে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকলেই কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করার কোনো অধিকার দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি আশা করে, সরকার এই ঘটনার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনা বিচারে হত্যার সংবিধানবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসার কার্যকর উদ্যোগ নেবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মর্যাদা ও জনআস্থা সমুন্নত রাখার স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তার সহকর্মী তিন শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।