বান্দরবান প্রতিনিধি: শর্তসাপেক্ষে আগামী ১৭ আগস্ট খুলে দেওয়া হবে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো। আগামী ১৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে জেলা প্রশাসন।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ আছে পর্যটন স্পটগুলো। এতে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৭ আগস্ট বান্দরবানে সব সরকারি-বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও পর্যটন ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ বলেন, ‘বান্দরবানে পাঁচ মাস ধরে পর্যটক নেই। তাই এখন কোনো আয়ও নেই।’
বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলায় কর্মসংস্থান ও আয়ের বড় খাত হলো পর্যটন। পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন বলেছেন, ‘যেহেতু করোনাভাইরাস পুরোপুরি যাচ্ছে না, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঁচতে হবে। এজন্য অন্যান্য জেলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বান্দরবানেও পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নজরদারি থাকবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ বান্দবানের সব পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। জেলায় ৬০টি হোটেল-মোটেল আছে। পর্যটকবাহী যানবাহন আছে ৪ শতাধিক। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত এ জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
সবুজ অরণ্যে ঘেরা প্রাকৃতির অপার সৌন্দর্যের জেলা বান্দরবান। এখানে আছে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, বৌদ্ধ জাদি, চিম্বুক, শুভ্রনীলা, রেমাক্রি, নাফাকুম, বগা লেক, কেওক্রাডং, মিরিঞ্জা, আলীর সুড়ঙ্গসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট।