অনলাইন ডেস্ক: পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাস ড্রিলিং নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বিবাদে জড়াতে যাচ্ছে তুরস্ক। এই বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে সামরিক উত্তেজনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তাইতো শুক্রবার (২৮ আগস্ট) তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ইইউ।
তুরস্ক যদি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান থেকে সরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও পিছপা হবে না ইইউ। এমনটাই জানিয়েছেন ইইউ’র শীর্ষ কূটনৈতিক কর্মকর্তা জোসেফ বোরেল। তিনি এ বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলাপ-আলোচনারও আহব্বান জানিয়েছেন। যদি সুরাহা না হয় তাহলে সদস্য দেশ হিসেবে তারা গ্রীস ও সাইপ্রাসকে সহায়তা দিবে।
বহু বছর ধরেই তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে নানামুখী দ্বন্দ্ব বিরাজমান। সেগুলোকে আবার উসকে দিচ্ছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের একটি এলাকায় তুরস্কের গ্যাস ড্রিলিংয়ের জন্য জরিপ করার সিদ্ধান্ত।
গ্রীসের এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কি আছে? মূলত যে এলাকায় তুরস্ক জরিপ চালাতে চাচ্ছে সেটি সাইপ্রাসের নিকটবর্তী। সেটা গ্রীসের একটি দ্বীপেরও নিকটবর্তী। এই কাজটি যেন তুরস্ক না করে সে বিষয়ে জুলাই মাসে ইউরোশিয়ান দেশটিকে সতর্ক করেছিল ইইউ। এবার নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলো।
বার্লিনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সভায় বোরেল বলেছেন— আমরা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। কারণ, তুরস্কের অর্থনীতি ইউরোপিয়ান অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যেসকল কাজ অবৈধ সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নিতেই হবে।
এ বিষয়ে গ্রীসের পক্ষে তিনি ইউরোপের অন্যান্য দেশের সহায়তা চেয়েছেন।
যদিও বোরেল যেসব কারণ উল্লেখ করে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন সেগুলোকে ভিত্তিহীন বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এটাকে ইইউর এখতিয়ারের বাইরের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হামি আকসয় বলেছেন— তুরস্কের নিজস্ব মহাদেশীয় এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কার্যক্রমের সমালোচনা করার বিষয়টি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এখতিয়ারের বাইরে। তাছাড়া গ্রীস দ্বীপবহুল কোনো রাষ্ট্র নয় যে তাদের মহাদেশীয় শেলফ বিস্তৃত হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীও গ্রিসের মহাদেশীয় শেলফ দাবি করাটা অবৈধ।
এক্ষেত্রে আনঙ্কারার পক্ষ থেকে ইইউকে আহব্বান জানানো হয়েছে গ্রীসকে সমর্থন কিংবা সহায়তা না দেয়ার।