জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১৯ জোড়া ট্রেন চালুর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সার্ভিসে ফিরলো রেল।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করা শুরু হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাস থেকেই ধীরে ধীরে চালু হতে থাকে বিভিন্ন রুটের ট্রেন সার্ভিস।
গতকাল শনিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে শনিবার থেকে আরও ১৯ জোড়া আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিন কমমলাপুর স্টেশন থেকে সাতটি আন্তঃনগর এবং দুটি কমিউটারসহ মোট নয়টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে মোট ৬৭ জোড়া, অর্থাৎ ১৩৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে।
নতুন ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো হলো— চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর গোধুলী/প্রভাতী এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তৃণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস।
এছাড়াও খুলনা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রুটে লোকাল, খুলনা-গোলালন্দঘাট-খুলনা রুটে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী-পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মহুয়া কমিউটার, খুলনা-বেনাপোল-খুলনা রুটে বেতনা এক্সপ্রেস।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বিক্রিত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না/বা ফেরত নেওয়া হবে না। যাত্রার দিনসহ ১০ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।
যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ থাকছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিলো। তাছাড়া কৃষকের পণ্য পরিবহনে গত পয়লা মে থেকে বিভিন্ন রুটে চালু হয় পার্সেল স্পেশাল ট্রেন।
গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। তারপর তৃতীয় দফায় ১৬ আগস্ট চালু হয় আরো ১৩ জোড়া ট্রেন। ২৭ আগস্ট থেকে চতুর্থ দফায় ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে এবং সর্বশেষ আজ আরও ১৯ জোড়া ট্রেন যুক্ত হলো এই বহরে।