নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি মুখে তরল খাবার খাচ্ছেন। তাকে কেবিনে স্থানান্তরের বিষয়ে বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ইউএনও’র সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিউ) পর্যবেক্ষণে থাকা ইউএনও ওয়াহিদা মুখে তরল খাবার খাচ্ছেন। তার জ্ঞানের মাত্রা সুস্থ মানুষের মতোই আছে। অন্যান্য কন্ডিশনগুলোরও মোটামুটি উন্নতি হয়েছে। শুধু ডান হাতটা আগের মতোই আছে, সেখানে ফিজিওথেরাপি চলছে। ফিজিওথেরাপি চলার পর কতটুকু উন্নতি হয় সেটা সময় হলে বোঝা যাবে।
ইউএনওকে এইচডিইউ থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাকে বেডে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। যেহেতু এখানে কিছু নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে, সেজন্য আমরা তাকে এখনো এইচডিইউতেই রেখেছি। তবে কেবিনে নেওয়ার বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত হবে। মেডিক্যাল বোর্ড বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
ওনার মানসিক ট্রমা আছে। সরকারি দায়িত্ব পালন অবস্থায় এতোবড় আঘাত পেয়েছেন। তার কিছুটা মানসিক আঘাত আছে, বলেন তিনি।
ইউএনও শঙ্কামুক্ত কি-না জানতে চাইলে ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, শঙ্কামুক্ত বলাটা কঠিন ব্যাপার। তবে যেই কন্ডিশনের জন্য তিনি খারাপ ছিলেন, সেই কন্ডিশনটা ইমপ্রুভ হয়েছে। মোটামুটি সব প্যারামিটারেই তার উন্নতি হয়েছে। ওনার পালস, রক্তচাপ, মানসিক অবস্থা, জ্ঞানের মাত্রা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার সবকিছু চিন্তা করলে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
ডান হাত অবশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি ফিজিওথেরাপিতে তার উন্নতি হবে, তবে কবে কতটুকু হবে সেটা বলা কঠিন হবে। হাতে ওনার শক্তি নেই, কিন্তু বোধ আছে। চিমটি কেটে ব্যথা দিলে বুঝতে পারেন।