শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক ডিএনসিসির আইনবহির্ভূত হোল্ডিং ট্যাক্সের বিরুদ্ধে  সেক্টর বাসিরা  বিএনপির নির্যাতিত কর্মী  সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডার অভিযোগ  নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হবে – আমিনুল হক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ২ দিনের সফরে মালয়েশিয়া গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত গাজীপুরে আসক ফাউন্ডেশনের মানবিক উদ্যোগ জনগণের  সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক এস এম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে উত্তরখানে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২২৫ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক: জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি। যা প্রাণী থেকে মানুষে ও প্রাণীতে সংক্রামিত হয়ে থাকে। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ।

এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদান, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ান’।
মূলত: রোগটি সংক্রামিত হয় কুকুরের মাধ্যমে। তথ্য মতে, এখনও বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৫ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে।

বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জলাতঙ্ক নির্মূলে ‘মাস ডগ ভ্যাক্সিনেশন’ বা ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। কোনো এলাকার ৭০ ভাগ কুকুরকে টিকা দিলে ওই এলাকার কুকুর অনেকটাই নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তিন বছরে তিন রাউন্ড টিকা দিলে কুকুর থেকে মানুষ বা কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীতে জলাতঙ্ক সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।

জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকৌশলের মাধ্যমে এই অবহেলিত রোগটির বিরুদ্ধে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর ফলে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০০৯ সালে আনুমানিক ২০০০ এর অধিক থেকে কমে ২০১৯ সালে সারাদেশে ২০০ তে নেমে এসেছে।

ঢাকার মহাখালীস্থ জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০৯ সালে ১৪৮ থেকে ২০১৮ সালে শতকরা ৬৮ ভাগ কমে ৪৯ এ নেমে এসেছে। টিকার মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ হয় এই সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সারাদেশে ৬৭ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন এর চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১২ সালে বিনামূল্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোগী টিকা পেয়েছে। ২০১৮ সালে টিকা পেয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৯ রোগী। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিডিসি কর্তৃক সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ভায়াল ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালীতে প্রদান করা হয়েছে।

২০২২ সালের মধ্যে প্রতি মিলিয়নে ১ জনের কম জলাতঙ্ক নির্মূল এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সহ সকল দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সহযোগি সংস্থার সাথে কাজ করছে।

জলাতঙ্ক নির্মূলে ব্যাপকহারে কুকুর টিকাদান কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২০ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে দেশ ব্যাপী ব্যাপকহারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত দেশের ৬৪ টি জেলা সদর পৌরসভা ও ১০ টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৬০টি জেলার সকল উপজেলায় ১ম রাউন্ড, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর,পাবনা, নীলফামারী জেলায় ২য় রাউন্ড এবং সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় ৩য় রাউন্ড টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩০ সংখ্যক কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৪টি জেলায় প্রথম রাউন্ড ও ১৬টি জেলায় দ্বিতীয় রাউন্ড আরো আনুমানিক ৫ লাখ কুকুরকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com