কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির (২৭) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বড় বোনের সাবেক স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে লজ্জায় অপমানে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম উলফাত আরা তিন্নি (২৪)। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই রিপোট লেখা পর্য়ন্ত কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন করছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্য রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিন্নি। শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যায় তাকে দাফন করা হয়েছে।
তিন্নির খালাতো ভাই মখলেছুর রহমান জানান, তিন্নি শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর ছোট মেয়ে। তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। তার বড়বোন মিন্নির একই গ্রামের নুরুদ্দীনের ছেলে শেখপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী জামিরুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় মিন্নি ও জামিরুলের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু মিন্নিকে ফিরে পাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠেন জামিরুল। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পিতৃহীন দুই বোনের ওপর নানা সময়ে নিপীড়ন চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জামিরুল তিন্নিদের বাড়িতে লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ফিরে যান। দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে রাত ১২টার দিকে ফের জামিরুল ওই বাড়িতে আসে এবং তিন্নির ওপর নির্যাতন চালান। জামিরুল চলে যাওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়েন তিন্নি। পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তিন্নিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বড় বোন মিন্নির দাবি পরিকল্পিতভাবে তার ছোট বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার পরির্দশক (তদন্ত) মহসীন আলী বলেন, স্বজনরা রাতেই তিন্নিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালেই ছুরতহালসহ ময়না তদন্ত করানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাকে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে তবে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।