রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে সমতল ভূমিতে কমলা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন স্কুল শিক্ষক আব্দুস সালাম ও তার ভাই আব্দুল রউফ।
এরইমধ্যে বাগান থেকে কমলা বিক্রিও শুরু করেছেন দুই ভাই।
কমলার আকার বড় আর স্বাদেও বেশ মিষ্টি।
সমতল ভূমিতে কমলা চাষে দুই ভাইয়ের সাফল্য দেখতে ও পরামর্শ নিতে প্রতিদিনই পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা আসছেন। ভালো ফলনে লাভজনক হওয়ার কারণে কমলা চাষে উদ্যোগও নিচ্ছেন অনেক কৃষক।
আব্দুস সালাম ও আব্দুল রউফের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো বাগানের দেড় শতাধিক গাছে থোকায় থোকায় কমলা ধরেছে। বেশির ভাগ কমলা পেকে হলুদ হয়ে গেছে। আবার বেশ কিছু কমলা সবুজ রয়েছে।
আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫ সালে ১ একর জমিতে নার্সারি শুরু করি। এর দেড় বছর পর কমলা চাষ নিয়ে ভাবনা শুরু হয়। কিন্তু কমলা সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে হয়ে থাকে। তবে আমি সমতল ভূমিতে কমলা চাষ করার উদ্যোগ নেই। পরে গত বছর ১৮৩টি মেরিন্ডা জাতের কমলার চারা দিয়ে চাষ শুরু করি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে আমার কমলা গাছে ফুল আসা শুরু করে। এর ৯ মাস পর কমলা পাকতে শুরু করে। প্রতিটি গাছে ৫০ কেজি করে কমলা হবে বলে ধারণা করছি। কমলাগুলোর স্বাদও বেশ মিষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বাগান থেকে কমলা বিক্রি শুরু করেছি।
সালাম ও রউফের কমলা চাষ দেখতে প্রতিদিন নিজ এলাকা ছাড়া আশেপাশের এলাকার রামদিয়ার কমলা বাগানে আসছেন। অনেকেই কমলা চাষের পদ্ধতি জেনে ও পরামর্শ নিয়ে কমলা চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বালিয়াকান্দির জামালপুর ইউনিয়ন থেকে আসা কৃষক শিমুল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমি জানতাম কমলা চাষ সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে হয়। কিন্তু বালিয়াকান্দিতে কমলা চাষ হয় সেটা জানা ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে নিজে দেখতে এসেছি। কমলা চাষিদের কথা শুনে মনে হয়েছে এটি বেশ লাভজনক। আশা করছি আগামীতে আমার ১৮ শতাংশ জমিতে কমলা চাষ শুরু করবো।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আম্বিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, বালিয়াকান্দির মতো জায়গায় কমলা চাষ এই অঞ্চলের কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে উপজেলার অন্যান্য জমিতে কমলা চাষ করা যায় কি-না সেটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিষয়টি জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।