শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

বেসামাল চিকিৎসা ব্যয়ে কে.সি. হাসপাতালে রোগীদের নাভিশ্বাস

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ মে, ২০২১
  • ২৯৭ বার পঠিত

মাসুদ পারভেজ : নিপা গ্রুপ ও কে.সি. ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ খসরু চৌধুরীর পরিচালিত রাজধানীর দক্ষিণখান চেয়ারম্যান বাড়ীর পাশে অবস্থিত কে.সি. হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার।নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান একজন সফল ব্যবসায়ী ও মানব সেবক, তিনি গত বছর করোনা মহামারী শুরুর দিকে কে.সি. ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বৃহত্তর উত্তরার সকল থানা তথা উত্তরখান দক্ষিণখান এলাকার কর্মহীন বেকার যুব সমাজ, দুস্থ , অসহায় দরিদ্র ও বয়ষ্ক নারী-পুরুষদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার অনুদান দেওয়ার কারনে এলাকায় দানবীর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌছিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেন। উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় বসবাসরত আপামর জনসাধারণকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও এ হাসপাতালটি বর্তমানে নিরাপদ কশাইখানা হিসেবে সর্বমহলে ঘৃণার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত রোগী এবং রোগীর পরিবারের স্বজনদেরকে নাজেহাল হতে হয় হাসপাতালের ম্যানেজার মাহবুুবের হাতে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, কে.সি. হাসপাতালে রোগী চিকিৎসার বিষয়ে জানার জন্য রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে এসে কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বললে তারা চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বোচ্চ ছাড় ও কম মূল্যে চিকিৎসা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ এবং ম্যানেজার মাহবুব মিলে কৌশলে চিকিৎসা ব্যয়ের দ্বিগুন বিল তৈরী করে সেখান থেকে ১৫/২০% ছাড় দিয়ে বিল করে রোগী এবং রোগীর স্বজনদের নিকট হইতে জোড় পূর্বক বিল আদায় করেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
প্রায় ১ বছর আগে কে.সি. হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসা নিতে এসে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, তিনি একটি দাঁতের ব্যথ্যা নিয়ে কে.সি. হাসপাতালে গেলে হাসপাতালের নিচে অবস্থানরত দালালচক্র তাকে একজন দাঁতের ডাক্তারের নিকট উপরে নিয়ে আসলে ডাক্তার তার দাঁতটি ফেলে দেওয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে দাঁত ফেলতে তিনি রাজি হলে, দাঁতের ডাক্তার তাকে বেডে নিয়ে দাঁত দেখার নাম করে তার অন্য একটি দাঁত টানাটানি করে। এতে তিনি ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফেরার পর ডাক্তার আবার দাঁত ফেলার চেষ্টা করলে তিনি তাকে বাধা দেন। এতে ডাক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যানেজার মাহবুবকে ডেকে এনে রোগী এবং তার সাথে থাকা স্বজনকে চামারের মত শাসায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে চলে গিয়ে অন্য ডাক্তার দেখাতে বলেন। উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় ভালো কোন হাসপাতাল না থাকায় এলাকার লোকজন ভালো চিকিৎসার আশায় কেসি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখানকার কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে এলাকার অনেক গরীব ও অসহায় মানুষকে।
গত শুক্রবার রাতে পাতলা পায়খানা নিয়ে মোমেলা বেগম নামে একজন ভদ্র মহিলা কে.সি. হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ইমারজেন্সী ডাক্তার রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন এবং তাৎক্ষণিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ভর্তি করান ও স্যালাইনের মাধ্যমে তার চিকিৎসা শুরু করেন। দুই দিন পর রোগীর অবস্থা কিছুটা ভালো হলে তাকে ১৯,৮০০/- বিল ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন। সেখানে অবস্থানরত রোগীর স্বজন ম্যানেজার মাহবুবকে দুই দিনে এত টাকা বিল কিভাবে হলো? জানতে চাইলে তিনি খুব্ধ হয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে রাগারাগি করেন এবং বিল পরিশোধ করে চলে যেতে বলেন। এ খবর পেয়ে রোগীর আরেক স্বজন এসে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সানজিদ কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তার সুপারিশকৃত বিল কমিয়ে দিতে বলেন।

এই বিষয়টি ম্যানেজার মাহবুব পরিচালক ডাঃ সানজিদের কথা তোয়াক্কা না করে রোগীর স্বজনদের সাথে আবারও রাগারাগি করেন এবং তিনি বলেন, সে কারও কথা শুনবে না, তিনি এখানকার ম্যানেজার, তিনি যা চান তাই করতে পারেন এই কথা বলে তাদের কথা না শুনে লিফ্টে নিচে নেমে তার গাড়ীতে চড়ে চলে যান। এ বিষয়টি কে.সি. হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ খসরু চৌধুরীকে জানালে তিনি ডাঃ সানজিদের সাথে কথা বলতে বলেন। অনুসন্ধান চলছে চোখ রাখুন পরবর্তী নিউজে…

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com