নুসরাতের একটি কল রেকর্ড গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে এবং এই কল রেকর্ডটি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মুনিয়ার মৃত্যুর ৩ দিন আগে ২৩ এপ্রিল নুসরাত একজনের সঙ্গে প্রায় ৭ মিনিট কথোপকথন করেন এবং সে কথোপকথনের পুরোটাই ছিল বসুন্ধরার এমডিকে কিভাবে ফাঁসানো যাবে সে সম্পর্কে।
উল্লেখ্য যে, মুনিয়া ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মারা যান। মুনিয়ার মৃত্যুর আগেই নুসরাত বসুন্ধরার এমডিকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং অপর প্রান্তে একজন পুরুষ কণ্ঠস্বর তার সঙ্গে দীর্ঘ ৭ মিনিট কথা বলেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, এই আলাপচারিতায় বসুন্ধরার এমডির কাছ থেকে কিভাবে মোটা অংকের টাকা নেয়া যায়, বসুন্ধরার পত্রিকাগুলো যেভাবে শারুনের বিরুদ্ধে লিখেছে, সেটি কিভাবে বন্ধ করা যায় এবং শারুনের বিরুদ্ধে ব্যাংকের একজন ম্যানেজারের স্ত্রী আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনেছে সেটি কিভাবে বন্ধ করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার এক পর্যায়ে নুসরাত বলেছেন যে, আনভীরকে ফাঁসালেই সব বন্ধ করা যাবে। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি, আপনি চিন্তা করবেন না। কাকে এই কথাটি বলেছেন সেটি অনুসন্ধান করছে গোয়েন্দারা।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, এই টেলিফোন কলের মূল উৎস এবং এই কলের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলেই এই অপমৃত্যুর মামলার আসল মোটিভ পাওয়া যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন সদস্য বলেছেন যে, যে কোনো একটি মামলা মোটিভটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নুসরাত কেন এই মামলাটি করেছেন সেই মোটিভটি আমরা খুঁজছি। তিনি যদি সত্যি সত্যি তার বোনের আত্মহত্যার বিচার চাইতেন তাহলে তিনি পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষা করতেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে জেনে বুঝে তারপর মামলাটা করতেন।
কিন্তু এখানে তিনি সেটি করেননি। বরং তিনি যেটি করেছেন যে, পূর্ব থেকেই যেন তিনি মামলার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন এবং যদি মুনিয়ার মৃত্যু না হতো তাহলে হয়ত বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা করতেন। মূল কথা হলো যে, ওই কল রেকর্ড থেকে বোঝা যায় যে শারুন এবং সংশ্লিষ্টদেরকে বাঁচানোর জন্য বসুন্ধরার এমডিকে যেকোনো মূল্যে ফাঁসানোই ছিল নুসরাতের মিশন। সূত্র: বাংলা ইনসাইডার