মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়া নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবী করেন। কিন্তু সরকারকে বিপদে ফেলতে এখন নুসরাতকে ব্যবহার করছে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী। নুসরাত টাকার বিনিময়ে তাদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে। মুনিয়ার মৃত্যু ইস্যুকে তারা অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এর প্রমাণ পাওয়া গেল গত রবিবার। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ন্ত্রিত ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভিতে (কানাডা ভিত্তিক) গতরাতে এক টকশোতে উপস্থিত হন নুসরাত। তারেক জিয়ার নব্য ক্যাডার হিসেবে পরিচিত নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নুসরাতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে উকিল এম.রহমান মাসুম।
এই নাগরিক টিভি নিরন্তর ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। আল-জাজিরার অল-দ্যা প্রাইম মিনিষ্টারস মেন সম্প্রচারের পর এই টিভিতে বিভিন্ন টকশোতে ডেভিড বার্গম্যান, তাসনিম খলিল গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছিল। শুধু আল-জাজিরা ইস্যু নয়, অন্যান্য সরকার বিরোধী প্রচারণায় এই নাগরিক টিভি সক্রিয়। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে এই অনলাইন প্লাটফরমটি ব্যাপক ভাবে কাজ করে।
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, নাগরিক অনলাইন চ্যানেলটি সার্বক্ষণিক কাজ করে। এই অনলাইনটি শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে বিব্রত করতে ব্যস্ত। এর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদ হেফাজতের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ গুলোকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়। সরকার যখন হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ঠিক তখন মুনিয়া ইস্যু সামনে আনা হয়েছে।
নাগরিক অনলাইন টিভির ঐ টকশো দেখে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, মুনিয়া ইস্যু কি তাহলে জামাত হেফাজতের ‘এজেন্ডা’। হেফাজতের থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নেয়ার জন্যই কি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মুনিয়া নাটক সাজিয়েছে? কিংবা মুনিয়ার ঘটনার পরপরই কি সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় শক্তি এটিকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মাঠে নেমেছে। নুসরাত কি হেফাজত এবং যুদ্ধাপরাধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন? এই প্রশ্ন এখন বেশ জোরেশোরেই উঠেছে।