হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের ডাকা প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা হুইপ ও তার পুত্র শারুন এবং ভাই নবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও জন্য দাবি জানিয়েছেন। প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে জাতীয় সংসদের পতাকা এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা, কোনটিই এই হুইপ ও তার পরিবারের কারো কাছে নিরাপদ নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশি বাধায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সমাবেশটি হতে পারেনি। তবে পৃথক পৃথক পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়। প্রেসক্লাব নিকটস্থ চেরাগী পাহাড়, ডিসি হিল সড়ক হয়ে ওয়াসা পল্টন রোডে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা জনতা রাস্তায় নামেন। তারা মুহুর্মুহু স্লোগানে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে হুইপ শামসুল ও তার পুত্র শারুন ও ভাই নবাবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক মন্ত্রী মরহুম জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর বাসভবনে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ করেন।
সমাবেশে হুইপের ভাই নবাবের হুমকি পাওয়া অশীতিপর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতিবাজ হুইপের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি। ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি। লুটেরার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি।
‘
প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি থাকলেও কেন জহুর আহমদ চৌধুরী বাসভবনের সামনে আসলেন? এ প্রশ্নের জবাবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমাদের নেতা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর বাসভবনে এসে শেষ সমাবেশ করতে বাধ্য হওয়ার পেছনের কারণ হল পুলিশের বাধা। শত শত পুলিশ দিয়ে প্রেসক্লাব চত্বরটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ‘
অভিন্ন অভিযোগ এনে মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব বলেন, ‘পটিয়ার এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুটপাট ও প্রতাপ এর প্রতিবাদে এবং মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনার নিন্দায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মাঠে নেমেছেন। দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম শেষ হবে না। একজন মুক্তিযোদ্ধা নিপীড়নকারীর কাছে কখনোই জাতীয় সংসদের পতাকা নিরাপদ নয়, জাতীয় পতাকাও নিরাপদ নয়।
বঙ্গবন্ধুর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও নিরাপদ নয়। ‘
সমাবেশে যোগ দেয়া মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের হুইপ এর পদ থেকে বহিষ্কার , আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সমাবেশের অন্য আলোচকগণ প্রগতি ও অসাম্প্রদায়িকতার শক্তি বঙ্গবন্ধুর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে হুইপ ও তার পুত্র এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান।