জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ২০২১ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
আজ সোমবার (২ আগস্ট) মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে শোকাবহ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে ‘পরিস্থিতির শিকার মানুষের কাছে শেখ হাসিনার উপহারসামগ্রী বিতরণ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ৮০ ভাগ জনগণকে যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যাতে এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এক সপ্তাহে কী এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যায়- বিএনপি নেতাদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের টিকা মজুত রয়েছে এবং এক সপ্তাহে প্রতিটি ইউনিয়নে পাঁচ হাজার জনকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে এক কোটিরও বেশি ব্যক্তি টিকার আওতায় আসবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন একটা ভালো কাজ করেছে- তারা আজ দেখাতে পারে না। বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যাচারে ব্যস্ত। বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাই- আপনারা বর্তমান সরকারকে সহায়তা না করেন, অন্তত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না।
তিনি বলেন, এই করোনার দুর্যোগের সময়েও বিএনপির শীর্ষ নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব সুযোগ পেলেই মিথ্যাচার করেন। এই করোনার সময়েও তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে, মিথ্যাচার করছে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলরা সরকারের কোনো উন্নয়ন দেখেন না। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হচ্ছে, পায়রা বন্দর হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন চার হাজার মেগাওয়াট থেকে চব্বিশ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, অজস্র উন্নয়ন হচ্ছে। এগুলোর কোনোটাই বিএনপির চোখে পড়ে না।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, করোনা একটি ভয়াবহ রোগ। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা বারবার দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য। যথাযথভাবে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য, ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য। আমরা এখনো বলছি, লকডাউন করোনা সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় নয়। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে হলে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তবেই শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং হাত পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে হাতের মাধ্যমে নাকে-চোখে-মুখে ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে। আমরা সবাই সচেতন হিসেবে ঘরের বাইরে যখন যাব তখন অবশ্যই মাস্ক পরব। এতে আমরা নিরাপদ থাকতে পারব, অন্যকেও নিরাপদ রাখতে পারব।
তিনি বলেন, আজকে আমরা মানবিক উপহার দেয়ার জন্য এসেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যারা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। যারা বিত্তবান আছেন, তাদের প্রতি আমি আগেও আহ্বান জানিয়েছি, আজও আহ্বান জানাচ্ছি, অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে ভালো কোনো কাজ হতে পারে না।
ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপির সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি ও কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।