ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক বকতিয়ার আলমের বিরুদ্ধে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোরে টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইলে অবস্থিত ইউনাইটেড একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর রহমান এই অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উক্ত বিদ্যালয়ে বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে কোন নিয়মিত কমিটি নেই। এডহক কমাটি আছে। উক্ত এডহক কমিটির সভাপতি বকতিয়ার আলম। ঢাকা বাের্ডের বিদ্যালয় কমিটির নীতিমালা অনুযায়ি কোন সরকারি কর্মকর্তা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কোন পদে আসীন হইতে হইলে তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের অনুমতির (এনওসির) প্রয়ােজন হয়। কিন্তু বকতিয়ার আলম সেই রকম কোন অনুমতি (এনওসি) নেয় নাই। তথাপিও তিনি একবার এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়াদান্তে ২য় মেয়াদেও সভাপতি নির্বাচিত হন। ৩য় মেয়াদেও তিনি সভাপতি হওয়ার অপচেষ্টায় আছেন।স্থানীয় ক্ষমতার জোরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র রায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে জনমত যাচাইয়ের কোন তোয়াক্কা না করে লােভের বশঃবর্তী হয়ে এইরূপ করিতেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বকতিয়ার আলম এডহক কমিটির সভাপতি হওয়ার পর বিদ্যালয় থেকে গত ৩১.১২.২০২০ তারিখে অবসরে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (সিনিয়র শিক্ষক) বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে প্রধান শিক্ষকের উপদেষ্টা হিসাবে নিয়ােগ প্রদান করেন এবং বিষয়টি রেজুলেশনভুক্ত করেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও চরম অন্যায়ের শামিল। সারা বিশ্বে করােনা মহামারির সময় অবসরে যাওয়া উক্ত শিক্ষককে উপদেষ্টা হিসাবে নিয়ােগ দিয়ে তাকে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে প্রতিমাসে ১০,০০০/- টাকা সম্মানী ভাতা এবং উৎসব ভাতা হিসাবে ৪,০০০/- টাকা প্রদান করে আসতেছে। যা চরম অন্যায়ের শামিল।
এ বিষয়ে বকতিয়ার আলমের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তা জানা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিজ্ঞানের শিক্ষক। অবসরে যাওয়ার পরে উক্ত বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক না থাকায় ম্যানেজিং কমিটি এবং অভিভাবকরা আমাকে বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে থাকার জন্য প্রস্তাব করেন। কিন্তু অবসরে যাওয়ার পরে এভাবে বিদ্যালয়ে থাকার কোন সুযোগ না থাকায় পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে পরামর্শ করে প্রধান শিক্ষকের উপদেষ্টা হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে আমি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হচ্ছে তা সত্য নয়।
সরকারি কর্মকর্তা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কোন পদে আসীন হতে হলে তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের অনুমতির (এনওসির) প্রয়ােজন হয়। বকতিয়ার আলম সেই অনুমতি নিয়েছেন কিনা? জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল আকন বলেন, জেলা প্রশাসকের পারমিশন নিয়েই তিনি সভাপতি হয়েছেন।