নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার কোনো শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ছয় মাসের বেশি বরখাস্ত করে রাখা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এই রায় সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জানাতে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছেন। ১৪ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত থাকা মাগুরার এক শিক্ষকের করা এক রিট মামলায় এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই বিষয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া একটি রায়ের নির্দেশনা অনুসারে হাইকোর্ট এ রায় দেন। হাইকোর্ট বলেছেন, আপিল বিভাগের রায়ও একটি আইন, যা হাইকোর্টসহ সবার জন্য মানা বাধ্যতামূলক। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বাদশা মিয়াকে অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিনেও তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের নিষ্পত্তি না করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এতে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মো. বাদশা মিয়া। ওই বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গতকাল তা নিষ্পত্তি করে রায় দিলেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে জানান আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির।
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার কোনো মেয়াদ ছিল না। এই রায়ে ছয় মাসের সময় নির্ধারিত হলো। এখন বেসরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে ছয় মাসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় ছয় মাস পরে সাময়িক বরখাস্ত আর কার্যকর থাকবে না। তবে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিস্তারিত জানা যাবে।