বগুড়া প্রতিনিধি : ভুয়া শিক্ষা সনদ ব্যবহার করে ১৫ বছর চাকরির পর বরখাস্ত হলেন, বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আয়া শাহীন আরা। বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের স্বাক্ষরিতপত্রে বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
অভিযোগে জানা গেছে, শাহীন আরা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রামপুরা গ্রামের মেহের আলীর মেয়ে। তিনি গত ২০০৬ সালে স্থানীয় উথরাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে আয়া পদে চাকরি নেন। তবে তার ওই শিক্ষাসনদ ভুয়া, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশি ও বিভাগীয় তদন্ত হয়। ২০২০ সালের ৬ জুন সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্ত জানা যায়, আয়া শাহীন আরার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষা সনদটি ভুয়া। সিভিল সার্জন ২০ সেপ্টেম্বর তদন্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরে জমা দেন।
এছাড়া আদমদীঘি থানার এসআই মোজাফ্ফর হোসেন তদন্ত করে একই ফলাফল পেয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাও এ বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছেন।
এদিকে দুটি তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম স্বাক্ষরিতপত্রে আয়া শাহীন আরাকে বরখাস্তের আদেশ জারির জন্য বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া হাসপাতালের পরিচালক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ মহসিন গত ৬ সেপ্টেম্বর শাহীন আরাকে আয়ার পদ থেকে বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শাহীন আরা আয়া পদে নেই। তিনি ভুয়া সনদে দীর্ঘ ১৫ বছর চাকরি করে সরকারি বেতন-ভাতা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে শাহীন আরার মোবাইলফোন যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।