সাংবাদিকদের ওপর হামলার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করতে চলছে পাঁয়তারা। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটায় বিশ্বস্তসূত্রে সংবাদ পেয়ে রাজধানীর পল্লবী থানা পলাশ নগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় একটি মাদরাসা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক হামলার শিকার হন। এই ঘটনায় সাপ্তাহিক নতুন বার্তার সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ রক্তাক্ত হন, ফেটে যায় তার মাথা।
আহত বাকি সাংবাদিকরা হলেন বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মিরাজ মাহবুব ইফতি, দৈনিক বাংলাদেশের আলো সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম ও অনলাইন পোর্টাল জাগো কন্ঠের ক্যামেরা পারসন মো. আলী। ওই ঘটনার হামলাকারী সন্ত্রাসী আজমান ওরফে আজমত ওরফে আজম, মো. হোসেন , রহমান ও নূর হোসেনসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক জোট ও সাংবাদিক নেতারা।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার লায়েকুজ্জামান লায়েক বলেন, পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে এই ঘটনা ঘটেছে। এক গ্রুপ মাদ্রাসার নাম করে দখল করে, আরো কয়েকটি গ্রুপ পূর্ব পুরুষের বলে দখল করে। দখল পাল্টা দখলের এই বাণিজ্যে সাংবাদিকদের কোন ভূমিকা নেই। ভূমিকা রয়েছে পুলিশের। পুলিশের উপস্থিতিতে দখল হয়। সেই সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়াই কাল হলো সাংবাদিকদের। আজ ৫ দিন হলেও মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ। ঘটনার সকল প্রমাণ থাকার পরও মামলা নিচ্ছে না নিজেদের স্বার্থে।
মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমন্বয়ক ও দৈনিক ইনকিলাব সিনিয়র রিপোর্টার আজিজুল হাকিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ সকল প্রমাণ থাকার পরও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। ওসি ডিসির কথা বলছে, ডিসি এসির কথা বলছে! কার কাছে গেলে যে কাজ হবে তাই বুঝতে পারছিনা।
মানববন্ধনে কলকাতা টিভি রিপোর্টার প্রান্ত পারভেজের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিল, সাপ্তাহিক নতুনবার্তা নির্বাহী সম্পাদক ও উত্তরা প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব ফারাহী, মিরপুর প্রেস ক্লাবের দুই অংশের নেতারাসহ মিরপুরে বসবাসরত সাংবাদিকগণ।