বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো জুয়েলারি এক্সপো শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ১, ২ ও ৩ নম্বর হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই এক্সপো শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর এই মহান দিনে জুয়েলারি শিল্পের নতুন একটি যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে জুয়েলারি এক্সপোর আয়োজন হবে সেটি আগে চিন্তাও করতে পারতেন না জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। সেটি সম্ভব করে দিয়েছে বাজুসের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টসের মতোই দেশের স্বর্ণ শিল্পও বিশ্ব বাজারে জায়গা দখল করে নেওয়ার লক্ষেই কাজ করছে বাজুস।’
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায়, সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন, সিনিয়র সহ সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ডা. দিলীপ রায় বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হলো জুয়েলারি মেলা। বাজুসের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। দেশেই গোল্ড রিফাইনারি হচ্ছে, এখন আর বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন ‘জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের দাবির পেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বর্ণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে, তার আলোকেই জুয়েলারি শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবেন।’
গুলজার আহমেদ বলেন, ‘অবহেলিত জুয়েলারি শিল্পকে মর্ডান করতে কাজ করছে আমাদের বর্তমান বাজুসের সভাপতি। ইতিমধ্যে বাজুসের ২৫ হাজার সদস্য থেকে ৫০ হাজার সদস্য হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে বাজুসে ৭৫ হাজার সদ্যস্য হয়ে যাবে।’
এনামুল হক খান দোলন বলেন, ‘এই এক্সপোর আয়োজক আমাদের বর্তমান সভাপতি। এই উদ্যোগটি দেশের প্রত্যকটি ঘরে ঘরে পৌছে যাবে। এটি যেহেতু শুরু হয়েছে, এটির আর শেষ নেই। আমাদের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে এই এক্সপোর মাধ্যমে। তাই আজ আমাদের আনন্দের দিন।’
তিন দিনব্যাপী এই এক্সপো চলবে ১৯ মার্চ শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থী ও ক্রেতাসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
৬৫টি স্টল এবং দেশ-বিদেশের ক্রেতা-বিক্রেতারা এতে অংশ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি ঘটবে বলে আশা করছে আয়োজকরা।
আয়োজকরা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে জুয়েলারি মেলার আয়োজন করেছে বাজুস। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা আরো জানায়, দর্শনার্থীদের জন্য র্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার।