সারা বাংলাদেশ ব্যাপি সমিক্ষা অনুযায়ি প্রায় ৯লাখ অবৈধ ব্যাটারী চালিত ৪প্রকারের ইজিবাইক রয়েছে তার মাঝে (১)বোরাক (২) মিশুক (৩) অটোরিকশা (৪) অটোভ্যান। পরিবেশ বান্ধব এ ইজিবাইকে কমপক্ষে ৫জন থেকে ৮জন সোয়ারি বহন করতে সক্ষম। যা বহন করতে ৩থেকে ৪টি রিক্সা প্রয়োজন হতো। যা সড়কের অনেকটা যায়গা দখল করলে, ফলে যানজট সৃষ্টি ও দীর্ঘস্থায়ী হতো।
ইজিবাইকের খারাপ দিকগুলোও কম নয়, মহাসড়ক গুলোতে বার বার দূর্ঘটনাও ইজিবাইক ড্রাইবারগণ ট্রাফিক আইন ও নিয়ম কানুন না বোঝা অদক্ষতাও কম দায়ী নয়। তাছাড়া দেশের ৯লাখ ইজিবাইকের কারনে বিদ্যুতের উপর তার প্রভাব পড়ে। যদিও এদেশ এখন বিদ্যুতে সয়ং সম্পুর্ন। তবু ইজিবাইক বন্এধ ও আমদানী সরবরাহ বন্ধের লক্ষ্যে আদালতে বহুদিন ধরেই মামলা চালাচালি, আন্দোলন দাবি দাওয়া, অনেক চড়াই উৎরাই, সমস্যা-সম্বাবনার স্বপ্নের পথ পেরিয়ে শেষে লাইসেন্স, টোকেন ও স্বীকৃতির দ্বার গোড়ায় বরিশালে সম্ভাব্য ১০শহস্রাধীক ইজিবাইক ও অটোরিক্সা। সরকার এতে করে একটি যুথসই নীতিমালার প্রনয়ন করলে ৯ লাখ ইজিবাইক বৈধতায় সরকার বড় একটি রাজস্ব যুক্ত করার সুপথ সুগম করলো। পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ১৬মে সোমবার বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা নাগাদ বরিশাল শহরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে উপস্থিত করে, প্রায় ১০শহস্র ইজিবাইক ও এর মালিক ড্রাইভার। এ সময় ইজিবাইক বিহীন সমগ্র বরিশাল কিছুটা হলেও থমকে যায়।
এদিকে বাঁধ রোডের দুটি অংশ শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান অন্যদিকে লঞ্চঘাট থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান পর্যন্ত টানা উপস্থিত উন্মুখ ইজিবাইকের কারনে টানা জানজটে অচল হয়ে পড়ে বাঁধ রোডের যোগাযোগ। এখানে সকল বাইক মালিকের NID কার্ড ও ছবি জমা নেওয়া হয়। প্রত্যেকটি গাড়িতে একটি করে ষ্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে লাগিয়ে দেওয়া ষ্টিকার প্রয়োজনের তুলনার কম থাকায় উপস্থিত ইজি বাইক মালিকরা বলেন ২৫% ইজি বাইকে ষ্টিকার লেগেছে। তবে এতে কোন সমস্যা হবে না বলেও তারা আশাবাদী, এই কারনে যে যখন সকলের ছবি ও NID কার্ড নিয়েছে তখন সকলেরটাই হবে। তারা বিশ্বাস করেন, তিন মাসের মধ্যে তারা তাদের লাইসেন্স ও টোকেন হাতে পাবে। তবে এক্ষেত্রে লাইসেন্স টোকেন বাবদ কতৃপক্ষ কতো টাকা নেবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।