রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আতিকা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক নূর নবী পলাতক থাকলেও বুধবার সকালে চার চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছেন- অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডা. দেওয়ান মো. আনিসুর রহমান, ডা. এ কে এম নিজামুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ ও মুক্তা।
নিহত শিশুর বাবা আজিম সাংবাদিকদের বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিনে দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে ঊরুর হাড় ভেঙে যায় আতিকার। এরপর আমরা বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসা করি। কিন্তু তাতে আমার মেয়ে ভালো না হওয়ায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে দালাল শাহজাহান ও সাব্বিরের মাধ্যমে মঙ্গলবার মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালের মালিক নুর নবীর সাথে বসে অপারেশনের বিষয়ে কথা বলি। হাড় জোড়া লাগানোর জন্য ওই দিন রাতেই অপারেশন করা হয়। অপারেশন করার পর আমার মেয়ের আর জ্ঞান ফেরেনি। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়টি জানায়নি। এরপর আমার স্ত্রী বুধবার সকালে দেখে আতিকার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে আসে। এসে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মুজিব পাটোয়ারী বলেন, আমরা খবর পেয়ে মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাঠাই এবং শিশুটির মা-বাবাকে থানায় নিয়ে আসি বিষয়টি জানার জন্য। শিশুটির বাবা-মা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল সিলগালা করেছিল র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপকর্মের জন্য মালিক নুর নবীকে কয়েকবার সাজাও দেওয়া হয়। জামিনে বের হয়ে আবারও একই ধরনের অপকর্ম চালান।