টেক্সাস ও ওকলাহোমার পর এবার বন্দুক হামলায় কাঁপল যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্য। সেখানে একটি গির্জার বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন দুইজন। পরে বন্দুকধারী নিজেও নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের রেসিন সমাধিস্থলে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে গুলিতে দুইজন আহত হন।
এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানায়, আইওয়ার এইমস শহরের কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় গির্জার ভেতরে একটি অনুষ্ঠান চলছিল বলে স্টোরি কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ নিকোলাস লেনি জানিয়েছেন। তিনি জানান, যে পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে তিনিই হামলাকারী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান নিকোলাস লেনি।
হামলার পর ৯১১ নম্বরে কলকারীরা জানান, পার্কিং লটে একজন বন্দুকধারী দুই নারীকে গুলি করেন। শেরিফ পল এইচ ফিটজেরাল্ড বলেন, গির্জায় কলেজ ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানা গেছে।
স্টোরি কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ নিকোলাস লেনি জানান, কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে গুলির খবর পেয়ে তিনি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, সেখানে তিনজনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি জানান, বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেছে কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতদের পরিচয় বা তাদের মধ্যে সম্পর্ক কী সে বিষয়ে জানাতে পারেন নি নিকোলাস লেনি।
অন্যদিকে উইসকনসিনের মিলওয়াকির একটি কবরস্থানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় এক বন্দুকধারী এলোপাথাড়ি গুলি শুরু করে। এ ঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও অন্যজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পৃথক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও এতে প্রাণহানির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। গত বুধবার ওকলাহোমার তুলসায় একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীর গুলিবর্ষণে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহত হয় ওই বন্দুকধারী নিজেও।
এর মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় নিহত হয় ১৯ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জন। রব এলিমেন্টারি স্কুলের ওই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোর দাবি উঠতে থাকে দেশজুড়ে।
সূত্র: আল-জাজিরা