কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের পর সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাককু ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের দ্বন্দ্ব আরো চরমে পৌঁছেছে। নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রকাশ্যে একে অপরকে দোষারূপ করছেন। তাদের এ দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। টানটান উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে তাদের সমর্থিত বিএনপির দুটি গ্রুপ। প্রকাশ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে।
এদিকে, একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজাম উদ্দিন কায়সার সাবেক কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাককুকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার বিচার দাবি করেছেন। কায়সারের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন সাককু সমর্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা জানান, বহিষ্কৃত এ দুই নেতার দ্বন্দ্ব নিয়ে চরম শঙ্কায় আছেন তারা। যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা অভিযোগে জানান, কেন্দ্র থেকে ঐ দুই নেতাকে বহিষ্কার ঘোষণা করা হলেও গোপনে কেন্দ্রীয় নেতারাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এ নিয়ে বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা আতঙ্কিত।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। গত বুধবার (১৫ জুন) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী ভোট গণনা শেষে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাককু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। অপরদিকে নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।