ভারতের পাঠানো চাল ও ওষুধের একটি চালান পেয়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার (২৪ জুন) খাদ্য ও ওষুধের এই চালান গ্রহণ করে দেশটি। দেশটির সুপারমার্কেট ও ফার্মেসিগুলো এখন ফাঁকা। খবর এএফপির
জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট অধিবেশন বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটিতে পেট্রল সরবরাহ ব্যাপক হ্রাস পাচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আমদানিকারকরা খাদ্য, তেল ও ওষুধ ক্রয়ের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। মুদ্রাস্ফীতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
সংসদীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপ্রয়োজনীয় পেট্রল ব্যবহার এড়াতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ও শুক্রবার (২৪ জুন) অধিবেশন বন্ধ ছিল। কয়েক দিন আগে কর্তৃপক্ষ একই কারণে স্কুল এবং কিছু অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এদিকে গাড়ির ট্যাংক পূর্ণ করার জন্য গাড়িচালকদের কয়েকদিন ধরে লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে দেশটিতে মারা গেছে ১০ জন। তাদের বয়স ৪৩ থেকে ৮৪-এর মধ্যে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, ৭০ বছরে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি। ইতিমধ্যে ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চীন, ভারত ও জাপানকে নিয়ে একটি দাতা সম্মেলন করবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের হতে এ পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার।
বুধবার (২২ জুন) দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমাদের ভারত, জাপান ও চীনের সমর্থন দরকার। তারা আমাদের ঐতিহাসিক মিত্র।’
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণের মধ্যে প্রায় অর্ধেকটাই নেয়া হয়েছে চীন থেকে। সাহায্য করারও ইঙ্গিত দিয়েছে বেইজিং। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ডের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।