ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে চলছে তোড়জোড়। চট্টগ্রামের সিটি গেট থেকে মীরসরাই পর্যন্ত বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত আটটি পয়েন্টে শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ। বাড়ি ফেরা স্বস্তিদায়ক হওয়ার আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে, সীতাকুণ্ডে সড়কের অপরিকল্পিত বাস স্টপেজ নিয়ন্ত্রণ না করলে যানজটের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মেয়র।
ঈদুল আজহায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কয়েক লাখ মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবে। এ জন্য মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়বে কয়েক গুণ। যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে।
চট্টগ্রামের সিটি গেট থেকে মীরসরাই পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। টানা বর্ষণ ও ভারি যানবাহন চলাচল করায় আটটি স্থানে সড়কে খানাখন্দের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে মহাসড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে মহাসড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
ঈদের সময় ফৌজদারহাট, কুমিরা, সীতাকুণ্ডসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজটের। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড অংশে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তার ওপর বাস স্টপেজ গড়ে তোলা ও সড়কের ওপর যাত্রী নামিয়ে দেয়ার কারণে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা করছেন সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বদিউল আলম।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি, ঈদের আগেই পুরোপুরি সংস্কারকাজ শেষ হয়ে যাবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।
ঈদযাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের আইল্যান্ডে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছেরও সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে।