পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত পাঁচ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি জুলাই মাসের প্রথম পাঁচ দিনে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রেমিট্যান্স আসার যে গতি, তা খুবই ইতিবাচক। সাধারণত প্রতি ঈদের আগেই রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবারের রেমিট্যান্স আসার হার একটু বেশি। ঈদের দুদিন বাকি। এ দুদিনে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডলারপ্রতি এখন পাওয়া যাচ্ছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। ব্যাংকের ডলার সংকট কাটাতে রেমিট্যান্স আহরণে বিশেষ সুবিধার আওতায় আরও বেশি টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এছাড়া সরকার আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে রেমিট্যান্সে। এতে ডলারপ্রতি ৯৫-৯৬ টাকা পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বাড়ে। সেই ধারায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। প্রবাসী আয়ের ঢল অব্যাহত থাকে ২০২১ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত। এর পর হঠাৎ করেই ছন্দপতন শুরু হয় দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি।