করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৯৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় চারশ বেড়েছে। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার ১০৪ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার কমেছে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৬ কোটি ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে জাপানে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৬০২ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার ৪৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩১ হাজার ৫৯৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৭৪ জন এবং নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৭৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৯৭৯ জন এবং মারা গেছেন ১৪৩ জন। আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৯৭ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ২০৪ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৬১ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯১৬ জনের।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।