চট্টগ্রামে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণায় চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। ঘর থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। পায়ে হেঁটে গন্তব্য যেতে দেখা গেছে অনেককেই।
সবধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।
এ কারণে দুর্ভোগে গার্মেন্টসকর্মী, পথচারী আর অফিসগামীসহ সর্বস্তরের মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন না মেলায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই মানুষের। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে পড়ায় ক্ষোভ তাদের।
শুধু ডিজেল, পেট্রোল কিংবা অকটেন নয়। পরিবহন শ্রমিকরা আটকে দিয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসও। এ সময় ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এতে কষ্ট বহগুণে বাড়ে যাত্রীদের। সিএনজি বন্ধ করায় ক্ষোভ জানান চালকরা।
শনিবার (৬ আগস্ট) ভোর থেকে নগরীর কদমতলী ও বহদ্দারহাটসহ নানা স্টেশনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে বাস। গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি কোনো যানবাহন। চালকদের দাবি বাড়াতে হবে তেলের সমন্বয় করে ভাড়া।
সবধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতেই ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল এবং অকটেনের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ৮০ থেকে ১১৪ টাকা, অকটেনের লিটার ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা, পেট্রোলের লিটার ৮৬ থেকে করা হয়েছে ১৩০ টাকা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে।