বাংলা টাইগার্সের ক্যাম্পে সাদা বলের অনুশীলনে থাকায়, একাদশে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা সম্ভব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে ডাক পেয়েছেন এমনটা জানিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। একটা ম্যাচ খারাপ হলেও, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সব সময় ভালো দল। পরবর্তী ম্যাচে ইতিবাচক ফল আসবে বলেও প্রত্যাশা তার। সামনের ম্যাচে পেসাররা ভালো করবে বলেও আশাবাদী এবাদত।
দুঃসংবাদ যেন পিছু লেগেই আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। মাঠের ফলাফলে নেই সুখবর। সঙ্গে একের পর এক ইনজুরি। এশিয়া কাপের আগে এতো এতো ইনজুরি টিম ম্যানেজমেন্টকে ফেলেছে ভাবনায়।
তবে তার আগে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে মিশন শেষ করতেই যেনো টানাপোড়েন। এক ম্যাচে ব্যথা পেয়েছেন লিটন, শরিফুল, মুশফিক। প্রায় ৪ সপ্তাহের জন্য ছিটতে গেছেন লিটন। শঙ্কা আছে শরিফুলকে নিয়ে। যার জন্য সিরিজের মাঝপথে এবাদত, নাঈম শেখকে উড়িয়ে নিতে হচ্ছে জিম্বাবুয়েতে।
বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পের অনুশীলনে খুলনায় ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। হঠাৎ জাতীয় দলের ডাক পেয়ে উচ্ছসিত। সাদা বলের অনুশীলনে থাকায় পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী তিনি। এবাদত বলেন, ‘রাতে আমার ফোনে কল আসে যে, আমার ন্যাশনাল টিমে যেতে হবে। খুশি অনেক, এখন দেখা যাক সুযোগ পেলে সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে ওখানে। চেষ্টা করব সাদা বলে আমার যে কাজগুলো ছিল, কোচের সঙ্গে কথা বলে ঐ কাজগুলোই আমি করেছি পারসোনালি।’
পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে দল। তবে তা নিয়ে ভাবছেন না তিনি। একটা ম্যাচ খারাপ হলেও, ভালো করা সম্ভব এই ফরম্যাটে। তবে ইনজুরি মুক্ত থাকতে বিশ্রামের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এই পেসার। তিনি বলেন, ‘দুয়েকটা ম্যাচ যদি খারাপ হয় আপনার কাছে কি মনে হয় টিম হিসেবে আমরা খারাপ? আলহামদুলিল্লাহ, টিম হিসেবে আমরা যথেষ্ট ভালো। নেক্সট দুইটা ম্যাচ আছে, ইনশা আল্লাহ, দুইটা ম্যাচ যদি উইন করতে পারি তবে সিরিজ আমাদের।’
একের পর এক খেলোয়াড়ের ইনজুরির কারণে এবাদত অধিক ম্যাচ খেলাকেই দায়ী করলেন, ‘মানুষের বডির তো একটা ব্যাপার আছে, বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, তো কন্টিনিউয়াসলি যখন তিন ফরম্যাটে যখন খেলে ইনজুরির একটা প্রবণতা থাকে। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ, সবাই ভালো মেন্টেইন করে।’
সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দাপট দেখিয়েছেন টাইগার পেসাররা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে সফরে আশানুরূপ ফল আসছে না তাদের কাছ থেকে। এবাদতের আশা সময়টা খারাপ গেলেও, উন্নতি এসেছে পেস ইউনিটে। তিনি বলেন, ‘লাস্ট দুই বছরের গ্রাফটা দেখেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সবাই: তাসকিন, মুস্তাফিজ, শরিফুল, আমি, খালেদ, আমরা সবাই, আমাদের পুরো পেস ডিপার্টমেন্টটাই খুবই ভালো করছে। তার মানে এই না যে, দুয়েকটা ম্যাচও খারাপ হতে পারবে না, আমরা হাল ছাড়ব না ইনশা আল্লাহ, এখান থেকে উন্নতির গ্রাফটা আমরা আরও উপরে নিয়ে যেতে চাই।’