বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের সুপারভাইজার হৃদয় খান।
হৃদয় খান বলেন, ওই নারী বরিশালের গুড়য়ার পাড়ে যাওয়ার উদ্যেশ্যে লঞ্চের যাত্রী হয়। সঙ্গে তার দুজন স্বজনও রয়েছেন। তবে স্বামী ছিলেন না। আমারা জেনেছি তার সন্তান প্রসবের নির্ধারিত সময় ছিল আরো ২২ দিন পরে। এই প্রস্তুতি নিয়েই মূলত তিনি স্বজনদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু লঞ্চে ওঠার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের সুপারভাইজার বলেন, ঢাকা সদরঘাট ত্যাগ করার পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই মায়ের প্রসব ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে কেবিনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে তোলা সম্ভব না বলে পরিবারের স্বজনরা সিদ্ধান্ত নেন ডেকে রাখতে।
হৃদয় খান বলেন, প্রথমাবস্থায় লঞ্চে কোনো ডাক্তার বা নার্স পাওয়া যাচ্ছিল না। একজন ধাত্রী সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন। যদিও পরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন নার্সকে আমরা পাই। রাত ১টার দিকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। আমরা বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছানোর জন্য দ্রুত লঞ্চ চালাচ্ছি। যেন তাড়াতাড়ি তাদের হাসপাতালে পৌঁছাতে পারি।