সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

পরিবেশগত ছাড়পত্রের আবেদন করেনি এমন ট্যানারি বন্ধের সিদ্ধান্ত

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১৪ বার পঠিত

সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরীর যেসব ট্যানারি পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার সম্ভাবনা নেই, সেসব ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আগামী মাসে এসব ট্যানারির তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়, যেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ঘনমিটার। সেখানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থাই নেই। গত বছরের আগস্টে দূষণের দায়ে শিল্প নগরী ‘আপাতত’ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। এরপরও সংসদীয় কমিটি দূষণ বন্ধে একাধিকবার সুপরিশ করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। শিল্পমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীকেও বৈঠকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটির মঙ্গলবারের বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অংশ নেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং বিসিকের চেয়ারম্যান অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের উদ্দেশ্য ছিল দূষণ রোধ করা। কিন্তু এখন সাভারের ধলেশ্বরী মৃতপ্রায়। আগে বুড়িগঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখন হচ্ছে ধলেশ্বরী। চামড়াশিল্প নগরীতে কঠিন বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেই। শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে যে, তাদের ব্যর্থতা আছে। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে— ট্যানারি কারখানাগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। একটি ভাগে থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরা বর্জ্য শোধানাগার তৈরি করেছে এবং করার বিষয়ে আগ্রহী। আরেকটি ভাগে থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান কখনোই পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং জোড়াতালি দিয়ে চলছে, যাদের কমপ্লায়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে তৃতীয় ভাগে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ভাগে যেসব প্রতিষ্ঠান থাকবে, সেগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করবে। তাদের সব সুবিধা বাতিল করা হবে। তৃতীয় ভাগে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপ্লায়েন্ট হওয়ার জন্য ছয় মাসের সময় দেওয়া হবে। আগামী মাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া বর্জ্য পরিশোধনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া কীভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল, মো. রেজাউল করিম এবং মো. শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com