মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কী করছে পরিবেশ অধিদফতর?

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১২ বার পঠিত

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা আদনান আলমের (৩২) দিন শুরু হয় রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন মিরপুর বড়বাগ এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ে পড়ে থাকা ময়লার স্তূপের দুর্গন্ধে। এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন নাকে রুমাল চেপে তাকে যেতে হয় অফিসের দিকে।

শুধু বড়বাগ এলাকাই নয়, দেশের অনেক জায়গাতেই রয়েছে এমন দুরবস্থা। পরিবেশ দূষণ রোধে জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। অথচ তাদের কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর পরিবেশ দিবস পালন করা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তার প্রতিকার রোধে তেমন কোনো পরিবর্তন এখনও লক্ষ করা যায়নি। পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন থাকার পরও নেই কোনো প্রয়োগ। তাহলে পরিবেশের এ বিপর্যয় রোধে কী করছে পরিবেশ অধিদফতর- এমন প্রশ্নের অনুসন্ধানে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদকে অসংখ্যবার ফোন ও ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক জিয়াউল হক ও সিনিয়র তথ্য সচিব দীপংকর করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় ।

পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশের মানোন্নয়নের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশ আইন ১৯৯৫, ২০১০ (সংশোধিত); এ আইন অনুসারে আমরা পরিবেশের ক্ষতিকারক শিল্প কলকারখানার ব্যাপারে কঠোর আইন প্রয়োগ করেছি। যারা ইটিপি, এসটিপি (অস্থায়ী ডাস্টবিন) স্থাপন করেছে, মন্ত্রণালয় থেকে তাদের উৎসাহ দিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যারা পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তাদের অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকার একটা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। যারা পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম হাতে নেবেন সরকার তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত। পরিবেশের এই বিপর্যয় রোধে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

গত কয়েক দশকে জনসংখ্যার চাপ, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, উন্নয়ন কার্যক্রম, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, বনজসম্পদ আহরণসহ নানা কারণে বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ কমে আসছে। বাংলাদেশ বন অধিদফতরের হিসাব মতে, দেশের মোট ভূমির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বনভূমি হিসেবে চিহ্নিত থাকলেও প্রকৃত বন আচ্ছাদিত বনভূমির পরিমাণ আট ভাগের বেশি নয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার ২৫৬ একর বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ হেক্টর বনভূমি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৬ একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। ক্রমবর্ধমান ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বনভূমি ধ্বংসের কারণে এরই মধ্যে বন্যপ্রাণীর ৩৯টি প্রজাতি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ আরও প্রায় ৩০ প্রজাতির অস্তিত্ব মারাত্মক সংকটে রয়েছে, যা বনকেন্দ্রিক জীবনচক্র ও বাস্তুসংস্থানের জন্য অশনিসংকেত।

ইন্টার গভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফরম অন বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেসের (আইপিবিইএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক দশক ধরে প্রায় এক মিলিয়ন প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করায় বন ও বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে পড়েছে। এ কারণে আজকের পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ তলানিতে।

বন সংরক্ষণ আইন বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর কী কাজ করছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বনায়নের ব্যাপারে সরকারি গাছ ও বনের গাছ কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো অবস্থায় তা বিক্রি করা যাবে না। ২০৩০ সাল পর্যন্ত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আইন করে আমরা এটা বন্ধ রেখেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ১৪ শতাংশ বন সংরক্ষণ করতে পেরেছি। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমরা তা ১৬ শতাংশে নিয়ে যেতে চাই। সে অনুযায়ী, আমরা আমাদের রিজার্ভ ফরেস্ট সংরক্ষণ, যেসব জায়গা থেকে গাছ উজাড় হয়েছে, সেসব জায়গায় নতুন করে গাছ লাগানোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। সামাজিক বনায়ন ও রিজার্ভ বন মিলে আমাদের বনভূমির পরিমাণ মোট ২২ শতাংশ। এটাকে ২০৩০ সালে আমরা ২৫ শতাংশে নিয়ে যেতে চাই। সে লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে বনভূমি ধ্বংসের পাশাপাশি দেশের পরিবেশ আইন, ১৯৯৫ লঙ্ঘন করে নির্বিচারে শিল্পায়ন ও বিভিন্ন শিল্প বিশেষ করে ডায়িং কারখানা ও ট্যানারিগুলোর শিল্পবর্জ্য নদ-নদী, খাল-বিলসহ প্রাকৃতিক উন্মুক্ত জলাধারগুলোয় নিক্ষেপের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক জলাধার বা জলজ জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে বিনষ্ট করা হচ্ছে।

জলাধারগুলো অবৈধ দখল এবং সংলগ্ন স্থানে অপরিকল্পিত বসতি ও স্থাপনা নির্মাণের ফলে মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসসহ জলজ জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এরই মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রাকৃতিক জলাধার (নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড় এবং অন্যান্য জলাশয়) বেদখল করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মুদিপণ্য বহনের জন্য যেসব ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রকৃতিতে মিশে যেতে ২০ বছর সময় লাগে। চা, কফি, জুস, কিংবা কোমল পানীয়ের জন্য যেসব প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় সেগুলো ৫০ বছর, আর ডায়পার ও প্লাস্টিক বোতল ৪৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।

পলিথিন বা প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পরিবেশ বিপর্যয় অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব। পলিথিন ও প্লাস্টিক বন্ধে মন্ত্রণালয়ের আইনও আছে। অথচ সে আইনের কোনো কার্যকারিতা নেই।

এ বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যাপারে আমরা জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশেষ করে পলিথিন যখন শপিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এটা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাজার থেকে তা পুরোপুরি উঠিয়ে নেয়া যায়নি। আমরা এর বিকল্প ব্যাগ তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেটাও এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অনেক বেশি প্রয়োজন।

resize
পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর কী করছেন জিজ্ঞেস করলে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। সে কারণে ঢাকার বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে। তবে যারা উন্নয়ন কাজ করছেন, তাদের চিঠি দিয়েছি। তাদের বলেছি, তারা যাতে এসব কিছু ঢেকে রাখে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। গাড়ির ধোঁয়া, কালো ধোঁয়া বন্ধে আমরা চেষ্টা করছি।

Air-Pollution-01

বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে, বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত

যাচ্ছেতাই ভাবে হর্ন বাজানো কিংবা সাউন্ডবক্স ব্যবহারের ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ রোধে আমাদের প্রকল্প আছে। হর্নের ব্যাপারে গাড়ির চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ে সভা করা হবে। আগে আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাই, পরে আইন প্রয়োগ।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়ের যে ভূমিকা বা আইন আছে তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হচ্ছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারকে একপক্ষীয়ভাবে দোষী করা যায় না। আমরা সবার সহযোগিতা ছাড়া দূষণ রোধ করতে পারব না। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন (যত্রতত্র) এবং অপরিকল্পিত নগরায়নই পরিবেশ দূষণের মূল কারণ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশসম্মত এবং সামাজিকভাবে ন্যায্য, তা না হলে উন্নয়ন টেকসই হবে না বরং জনজীবনে নেমে আসবে বিপর্যয়। বাংলাদেশের বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয়ে বায়ূদূষণ, পানিদূষণ ও মাটি দূষণসহ প্রাকৃতিক বনসম্পদ, জলাশয় এবং কৃষিজমির ওপর অযাচিত চাপের কারণে জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের রোডম‍্যাপ বাস্তবায়নে ব‍্যাপক ভিত্তিক শিল্পায়ন (১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল) এবং নগরায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ ভাগ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট নানাবিধ সমস্যায় আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে জনজীবন। পরিবেশগত বিপর্যের কারণে ধ্বংসযজ্ঞ কতটা বেশি তার বাস্তব উদাহরণ হলো বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষ্যা নদীর পানি। এ পানি পরিশোধন যোগ্য না হওয়ায় কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করে পদ্মা এবং মেঘনা নদীর পানি পরিশোধন করে ঢাকা মহানগরীর খাবার পানির জোগান দিতে হচ্ছে।

মেহেদী আহসান আরও বলেন, পরিবেশের সুরক্ষা এবং ব্যবস্থাপনায় বিদ‍্যমান আইন যথেষ্ট নয়। যেসব আইন আছে সেসবের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। পরিবেশ দূষণের প্রধান দুটি কারণের মধ্যে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন ঠেকাতে প্রয়োজন নগর, গ্রাম এবং অঞ্চল পরিকল্পনা আইন। এ ছাড়া পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ, যা অতি দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে বন্ধ করা প্রয়োজন।

power-station-374097-1280

অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। ছবি: সংগৃহীত

কেন আইন হওয়ার পরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ‍্যমান পরিবেশ সংক্রান্ত আইন এবং বিধিমালাগুলোর সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার অন্যতম কারণ করপোরেট পেশিশক্তি এবং দুর্নীতি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কারিগরি দক্ষতার অভাব, বিদ‍্যমান জনবল কাঠামোয় প্রকৃত পেশাজীবীদের সংযুক্ত না করা।

গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ ও জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির তথ্যমতে, এখনই সময় মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ককে পুনর্বিবেচনা করে সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়া।

জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকৃতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস রোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ প্রাণ ও প্রকৃতি তথা জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং তার বাস্তবায়নে নাগরিকদের সোচ্চার হতে হবে। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণীসহ বনজ ও প্রাণিজসম্পদ ক্রয়-বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা, নাগরিক এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তবেই পরিবেশ বিপর্যয়ের এ বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com