রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনের ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পরিবেশগত ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আরও লাখ লাখ হেক্টর সংরক্ষিত অঞ্চল হুমকির মুখে রয়েছে। ইউক্রেনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ইইউ আইনপ্রণেতাদেরকে ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্ক অবগত করেন দেশটির পরিবেশমন্ত্রী রুসলান স্ট্রিলেটস।
তিনি বলেন, রাশিয়ার অভিযানে ইউক্রেনের সংরক্ষিত এলাকায় এক পঞ্চমাংশ ধ্বংসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই হাজার সংরক্ষিত এলাকা পরিবেশগত ধ্বংস বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ইউক্রেন সরকারের হিসেবে, সংঘাতের কারণে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত পরিবেশ দূষণের শিকার হয়েছে তার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া মাটির যে ক্ষতি হয়েছে তা ঠিক করতে আরও প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
এদিকে রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনেও কয়েকটি এলাকা নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে খবর পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরের গ্রামগুলো সোমবার (৩ অক্টোবর) দখলমুক্ত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ওই সব এলাকা থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশে রাশিয়া–সমর্থিত প্রশাসনিক প্রধানও এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। কয়েকদিন আগেই খেরসনকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
খেরসন প্রদেশে রাশিয়া সমর্থিত প্রশাসনিক প্রধান ভ্লাদিমির সালদো রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী দিনিপ্রো নদীর তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা দখলমুক্ত করেছে। তারা দুদচানি গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এর মানে হলো, ইউক্রেনীয় বাহিনী এক দিনে প্রায় ৪০ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ইউক্রেনীয় বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লিমানের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনের বাহিনী।
গত শুক্রবার ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পুতিন।
তবে পুতিনের ঘোষণার দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।