স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ রোধকল্পে ও মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, কিশোরীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ রোধে উচ্চশিক্ষা জরুরি। এক্ষেত্রে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজের সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় আয়োজিত ‘কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন স্পিকার। জাতীয় সংসদ সচিবালয়, ইউএনএফপিএ ও তাড়াশ উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আজ যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে, বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরিখে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা উপস্থাপন করেছে, যা এসপিসিপিডি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পন্থা নির্ধারণে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের সঙ্গে মেয়েদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সরাসরি সম্পৃক্ত। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বিস্তৃত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালনা করছেন। মেয়েরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন, যা তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মায়েদের কাছে মেয়েদের উপবৃত্তির টাকা মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে।
ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি।
অনুষ্ঠানে এমপি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ডা. হাবিবে মিল্লাত, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সৈয়দা রুবিনা মিরা, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম ও প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় ব্যক্তিরা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।