টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই জমে উঠেছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জস বাটলারদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ড ৩ ম্যাচে ১টি জিতেছে, ১টি হেরেছে এবং তাদের ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড ৩ ম্যাচের ২টিতে জয় তুলে নিয়েছে এবং তাদের ১টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে। তাই এ ম্যাচ হারলেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত ইংলিশদের। আর এসে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে কিউইদের।
নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচের ওপর নির্ভরশীল গ্রুপের অন্য দলের ভাগ্যও। অস্ট্রেলিয়াও চাইবে কিউইরা জিতে যাক। এতে ইংল্যান্ডের ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও একটা রোমহর্ষক ম্য়াচের অপেক্ষা।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিটের তালিকায় ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। পরের ম্যাচ ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন অজিদের বিপক্ষে। কিন্তু মিনি অ্যাসেজের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
এবার সামনে গতবারের রানার্সআপরা। কিউইদের বিরুদ্ধে জয় এত সহজ নয়। গতবারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই ছিটকে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। নাটকীয় ম্যাচে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই অলরাউন্ডার ড্যারেল মিচেল ও জিমি নিশাম।
তাই এই ম্যাচকে নকআউট হিসেবেই ধরছেন ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ পল কলিংউড। চাপের মুহূর্তেই দল আরও ভালো পারফর্ম করবে বলে বিশ্বাস তার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখান থেকেই নকআউট পর্ব শুরু। আমাদের জন্য মরণ-বাঁচন ম্যাচ। এরকম পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ালেই বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। আশা করি, এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারব আমরা।’
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড শিবির তুলনামূলক চাপ মুক্ত। সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারানো, মানসিকভাবে অনেকটাই ভালো জায়গায় রেখেছে কিউইদের। ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও তারা শক্তিশালী পজিশনেই থাকবে। নেট রান রেট খুবই ভালো তাদের। যদিও ছন্দ ধরে রাখাতেই নজর তাদের।
এই ম্যাচে জিতলে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে নিউজিল্যান্ড। পেসার লকি ফার্গুসন বলছেন, ‘এই ম্যাচটাতেই আমাদের কাছে মূল ফোকাস। পরের ধাপ নিয়ে পরে ভাবব।’