একমাসের মধ্যেই বাণিজ্যিক যাত্রায় যাবে মেট্রোরেল। দিনরাত চলছে সমন্বিত ট্রায়াল। ব্যবস্থাপনার জন্য থাকবে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডিসেম্বরের আগেই মেট্রো পুলিশ এবং এক বছরের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল চালুর আগেই নিরাপত্তার জন্য সাড়ে তিনশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এখন শুধু দিনগুনে অপেক্ষা করা। হাতে সময় আছে আর মাত্র এক মাস। দিনরাত এক করে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। প্রথম নয়টি স্টেশনের এ যাত্রায় এরই মধ্যে প্রতিটি স্টেশনের কাজই প্রায় শেষ। চলছে ভেতরের কাজ। প্রথম তিনটি স্টেশনে সাইনেজ বাদে বাকি সবই পুরোপুরি তৈরি। বসেছে টিকিট বুথও।
এদিকে যে দশটি ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু হবে এ পথে, দিনরাত সেখানে চলছে সমন্বিত ট্রায়াল রান। সব শেষ পরীক্ষামূলক চলাচলও হবে এ মাসেই। কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৫ দিন সময় নিয়ে সেই পাঠ চুকিয়ে ফেলবেন তারা।
পাশাপাশি শুরুর আগেই মেট্রোরেলের জন্য আলাদা প্রায় সাড়ে তিনশ’ আইলশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া এক বছরের পরিচালন ব্যয়ের জন্য দরকার হবে এক হাজার কোটি টাকা। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে সেই অর্থের জন্যও আবেদন করা হয়েছে।
আসছে ডিসেম্বরেই চালু হবে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন এমআরটি লাইন সিক্স এর একাংশ।
এদিকে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পর রাজধানীতে মেট্রোরেল চালু হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৭ নভেম্বর) গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।