বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাতে মুখোমুখি হয়েছিলো কানাডা ও বেলজিয়াম। আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শুরু হয়েছিলো ম্যাচটি। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বেলজিয়াম প্রথম গোলের দেখা পায়।
৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও মিস করেছে কানাডা। রুখে দেন কর্তোয়া। ফাউল করেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার হলুদ কার্ড দেখেন। পেনাল্টি পায় কানাডা। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে মেরেও মিস করেন আলফোনসো ডেভিস। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন কর্তোয়া। বিশ্বকাপে পেনাল্টি রুখে দেওয়া রেকর্ড গড়েছেন কর্তোয়া। ১৯৬৬ সালের পর কেউ আর পারেনি তার মতো।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি করেছে কানাডা। নতুন এক প্রজন্মের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। যারা বেলজিয়ামের বিপক্ষে জিতবে এমন আশা করছে না। তাদের বিশ্বাস তারা ভালো করবে। কানাডা এর আগে একবারই বিশ্বকাপ খেলেছিল। তাও ১৯৮৬ সালে। বিদায় নিয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকেই। ৩৬ বছর পর আবার তারা খেলছে। নিজেরা সেরা দল না হলেও নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করবে না।
যেমনটা বলেছেন তাদের তারকা মিডফিল্ডার জনাথান ওসোরিও, ‘আমরা খুব বেশি কিছু আশা করছি না। তবে আমাদের বিশ্বাস আছে। নিজেদের প্রতি আমরা খুবই কনফিডেন্ট। আমরা সবাইকে দেখাতে চাই আমরাও ফুটবল খেলুড়ে জাতি। আমরাও বিশ্বের সেরা সেরা দলের সঙ্গে লড়াই করতে পারি। আমরা মানুষকে বিস্ময় উপহার দিতে চাই।’
অন্যদিকে বেলজিয়াম এ নিয়ে ১৩তমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে। গেল আসরে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে তৃতীয় হয়ে শেষ করেছিল। এছাড়া গেল দুই বিশ্বকাপে রেড ডেভিলসরা গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচের ছয়টিই জিতেছিল। এবারও তারা জয় ভিন্ন অন্য কিছু চিন্তাও করছে না। তবে এবার অবশ্য কঠিন গ্রুপেই পড়েছে তারা। যেখানে রয়েছে গেল আসরের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া, মরোক্কো আর কানাডা।
তারকাবহুল দল বেলজিয়ামের অবশ্য কানাডার বিপক্ষে খেলার খুব বেশি খেলার রেকর্ড নেই। এর আগে একবারই ম্যাপল লিভসের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। তাও ৩৩ বছর আগে, ১৯৮৯ সালে। প্রীতি ম্যাচের সেই দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল বেলজিয়াম। ৩৩ বছর পর আবার তাদের মুখোমুখি বেলজিয়াম। ফেভারিট হিসেবে জয়ের পাল্লা তাদের দিকেই ভারী। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে যেভাবে আন্ডারডগরা ভেল্কি দেখাচ্ছে তাতে নিশ্চিত করে তো কিছুই বলা যায় না।