করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৪১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৮৭ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৬ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৫০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৬৭৩ জনে।
করোনাভাইরাসের শুরু থেকে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সোমবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে জাপানে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৯ হাজার ১৭৮ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৮ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৪০ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪ হাজার ৭৫৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৬৭ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লাখ ১২ হাজার ৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬০ জনের।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।