ভূইফোড় কোম্পানীর মাধ্যমে দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতিবাজ সাজ্জাদ খান, জাফর মীর ও সৈয়দ হারুন অর রশিদ চক্রের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরিত ওই অভিযোগে বলা হয়, একটি দুর্নীতিবাজ ও অসৎ, জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা একেক সময়, একেক নামে, একেক স্থানে ভূইফোড় মাল্টি পারপাস কোম্পানী ও সঞ্চয় সমিতির নামে একাধিক কোম্পানী করে সঞ্চয়/সমিতির অফিস খুলে নিরীহ মানুষদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে এই চক্রটি অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার মালিক সেজেছে। এদের আত্মীয় স্বজন, পরিবার পরিজনদের নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এই চক্রটির সর্বশেষ অফিস এখন ঢাকার মিডর্ফোট হাসপাতাল, বাবু বাজার ও সদরঘাট-কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান করে কতিপয় দালালদের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ ব্যবসার নামে অসংখ্য মানুষের টাকা লুটপাট করছে।
বর্ণিত চক্রটির কথিত অফিসের নাম “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি” যার কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন ও জাফর মীর, এছাড়া অপর কোম্পানী “মধুমতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড” যার এম ডি হলো সৈয়দ হারুন অর রশীদ ওরফে জঙ্গী হারুন ওরফে আফগান হারুন, এনআইডি নং:-৮৬৭৭৭২৪৯১৯। এরা দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দিনের জন্য অফিস নিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষকে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থেকে তাদের নিজ এলাকা গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন দস্তন গ্রামে গিয়ে স্থানীয় কিছু দালাল ও মোড়লদের ম্যানেজ করে তারা সুদের উপর টাকা লাগিয়ে গ্রামের হতদরিদ্র ও নিরীহ মানুষদের জায়গা-জমি, ভিটে-মাটি দখল করে নিয়ে অসংখ্য পরিবারকে সর্বশান্ত করে দিয়ে পথে বসিয়েছে। তাদের অত্যাচারে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের হঠাৎ করে সম্পদশালী হওয়ার রহস্য নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরী হওয়ায়। এখন ঘরে ঘরে সঞ্চয় সমিতি ও চড়া সুদে লেনদেনের প্রবনতা বেড়ে গিয়েছে।
উল্লেখতি চোট ব্যবসায়ী (সুদখোর) দের সম্পর্কে স্থানীয় জনৈক শিক্ষক ও একজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় এই চোট ব্যবসায়ী “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির” কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন, প্রায় আট বছর আগে এলাকার জয়নগর বাজারে মুদি দোকানে কাজ করতো এবং রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানের বেড়া কেটে এবং কখনো কারো দোকানের গ্রিল কেটে বিভিন্ন মালামাল এবং টাকা-পয়সা চুরি করতো। এই চক্রটি বাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিল। তারাই এখন অবৈধ উপায়ে কোটিপতি হয়ে এলাকায় এসেছে। সমাজের একি করুণ পরিণতি দেখছি!
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দুর্নীতিবাজ চক্রটিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে উক্ত “মধুমতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড” যার এম ডি সৈয়দ হারুন অর রশীদ ওরফে জঙ্গী হারুন ও “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি” যার কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন ও জাফর মীর সহ এদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদের হিসাব নেওয়াসহ এদের বিষয়ে জরুরী কার্যকরী আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দুদক চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।