মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮৮ জন। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৩ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৪ জনে।
করোনাভাইরাসের সেই শুরু থেকে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সোমবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে জাপানে। মোট আক্রান্তের দিক থেকে তালিকার ৭ নম্বর থাকা দেশটিতে এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ১৭৪ জন ও মারা গেছেন ১৯০ জন। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫১ হাজার ৭০২ জন। আর শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৮২৩ জন।
দৈনিক মৃত্যুতে জাপানের পরই রাশিয়ার অবস্থান। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৯৬ জন সংক্রমিত ও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৫২ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬১১ জনের জন।
জাপানের পর একদিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৫৪ হাজার ১১৯ জন সংক্রমিত ও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৮২ জনে। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু ও ৭ হাজার ৬১৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫১ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৮৮ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৪ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে ১৬১ জন। তবে এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।