বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াইয়ে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে মরক্কো। বিশ্বকাপের শেষটা রাঙাতে এই ম্যাচে জয় ভিন্ন কোনো ভাবনা নেই সেমিফাইনালে বাদ পড়া দুদলের সামনে। খলিফা ইন্টারনশ্যানাল স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
আর্জেন্টিনার কাছে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেছে ক্রোয়েশিয়া। তবে ফাইনাল খেলা না হলেও শেষটা রাঙানোর সুযোগ থাকছে দলটির সামনে। সেক্ষেত্রে শনিবারের ম্যাচে মরক্কোকে হারাতে হবে ক্রোয়াটদের।
অবশ্য শেষ চারে উঠেই নিজেদের নিয়ে গর্বিত ক্রোয়েশিয়া। তাই তো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে, সংবাদ সম্মেলনে দলটির খেলোয়াড়রা এসেছেন চকলেট কেক হাতে। এ ম্যাচকে সামনে রেখে, চাপ নিচ্ছে না গতবারের রানার্সআপরা।
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার আন্দ্রেজ ক্রামারিচ বলেন, ‘বিশ্বকাপে কোনো পদক জেতার মানে নিজের দেশে মৃত্যুঞ্জয়ী নায়কে পরিণত হওয়া। আমাদের দলের অনেক খেলোয়াড়ের এমন অভিজ্ঞতা নেই এবং পরের ম্যাচে এমনটাই করতে চাচ্ছি। কারণ এটা এমন কিছু, যা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রীতি ম্যাচ? খুবই বাজে শব্দ।’
অন্যদিকে চাপমুক্ত মরক্কানরাও। ফ্রান্সের কাছে হারলেও দারুণ পারফরম্যান্সে সবার মন জয় করেছে আটলাস লায়ন্স। সেমিফাইনালে উঠেই গড়েছে ইতিহাস। নিজেদের ২৪ বছরের বিশ্বকাপ ইতিহাসে মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলা দলটি, কাতার বিশ্বকাপে সপ্তমবারের মতো মাঠে নামার অপেক্ষায়। তবে দলটির কোচ এই ম্যাচে নয়, খেলতে চেয়েছিলেন বহুল আরাধ্যের ফাইনালে।
মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, বিশ্বকাপে চতুর্থ হওয়ার চেয়ে তৃতীয় হতে পারাটা দারুণ কিছু। তবে শনিবারের ম্যাচে নয়, আমরা আসলে ফাইনালে খেলতে চেয়েছিলাম।’
এবারের বিশ্বকাপে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো একে অন্যের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো। গ্রুপ পর্বের প্রথম দেখায়, গোলশূন্য ড্রতে নিষ্পত্তি হয়েছিল ম্যাচের ফলাফল। এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবল ম্যাচে, সেটাই তাদের একমাত্র সাক্ষাৎ।