আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স যখন ফাইনালের টিকিট পেলো তখন থেকেই আলোচনায় ছিলো লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম। দুই দেশের আড়ালে লড়াইটা যে মেসি-এমবাপেরও সেটা বলে আসছিলেন ফুটবলবোদ্ধারা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো।
৫ গোল নিয়ে ফাইনালে মাঠে নেমেছিলেন মেসি ও এমবাপে। পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করে এমবাপেকে টপকে গিয়েছিলেন মেসি। দ্বিতীয় গোল করে গোল্ডেন বুট পুরস্কারটা প্রায় নিজের করে ফেলেছিলেন আর্জেন্টনাইন মহাতারকা; কিন্তু বিশ্বকাপের মতো আসরের ফাইনালে এতটা জ্বলে উঠবেন ফরাসি সুপারস্টার এমবাপে তা কে জানতো!
নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে শেষ হলো। আর্জেন্টিনার জোড়া গোল করলেও মেসি। অন্যটি ডি মারিয়ার। কিন্তু ফ্রান্সের তিনটি গোলই আসলো এমবাপের পা থেকে।
তারপরও ম্যাচ শেষে এমবাপ্পের চোখে-মুখে রাজ্যের হতাশা। নিজে হ্যাটট্রিক করে অনন্য উচ্চতায় উঠলেও দলের লড়াইয়ে যে হেরে গেছেন তারা। ব্যক্তিগত লড়াইয়ে ফাইনালে মেসিকে হারিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে। এই জয়ে কোন তৃপ্তি নেই এমবাপ্পের। দল জিতলে পেলের পর দ্বিতীয় কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দেখাতে পারতেন তিনি।
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে হ্যাটট্রিক বিরল ঘটনা। সর্বশেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ড জিতেছিল ৪-২ গোলে। তিনটি গোল করেছিলেন হার্স্ট।
হার্স্টের পাশে নাম খেলানোর প্রথম সুযোগ এসেছিল ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার মারিও কেম্পেসের সামনে। ফাইনালে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডসকে। জোড়া গোল করেছিলেন কেম্পেস। ১৯৯৮ সালে সুযোগ এসেছিল ফ্রান্সের জিনেদিন জিদানের সামনে। ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ফ্রান্সের ৩-০ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল ছিল জিদানের।
জিদান সেদিন না পারলেও ২৪ বছর পর তা পারলেন তার উত্তরসূরী কিলিয়ান এমবাপ্পে। দলের ৩ গোলের তিনটিই করে এমবাপে প্রমাণ করলেও কেন তার নামটি এসেছিল মেসির সঙ্গে লড়াইয়ের তুলনায়। তবে দুর্ভাগ্য তার তিনি অনন্য এই কীর্তি গড়লেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি।