ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ফরম্যাট এবং কাঠামো বিবেচনায় আসবে নতুন কোচিং প্যানেল। যেখানে সুযোগ থাকবে পুরনোদেরও। তবে এবার আর স্বল্পমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা নয়, বোর্ডের ভাবনা দীর্ঘমেয়াদি।
কথাটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে চারদিকে সমালোচনা হলেও পাপনের ভোট আফ্রিকানের পক্ষে।
বছরের শুরু আর শেষ, কতটা বৈপরীত্য। জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইতে সাদা পোশাকের ম্যাচ জিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়া দলটা ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ধরাশায়ী ভারতের কাছে। বছরজুড়ে ওয়ানডেতে মোটা দাগে সাফল্য আসলেও সাদা পোশাকে বড্ড রংহীন টিম বাংলাদেশ।
দেশে প্রচলিত ধারণা, কোচ বদলালেই ফরম্যাট ভেদে সাফল্য আসতে থাকবে। বিশেষ করে রাসেল ডমিঙ্গো যেন অনেকের কাছে রীতিমতো শত্রু। কিন্তু আফ্রিকানের বিষয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট বেশ পরিষ্কার। সামনের দিনগুলোতে থাকবেন কি থাকবেন না সেটা না জানালেও, তার ভোটটা যে পক্ষেই থাকবে সেটা জানিয়েছেন দৃঢ়কণ্ঠে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা এখন যে ফরম্যাটে চলছি, সেই ফরম্যাট থেকে সহজে কেউ যাবে না। কারণ সারা বছর ধরে ঘোরা সম্ভব হবে না। আর যে যতই বলুন না কেন, রাসেল ডমিঙ্গোর পাল্লাটা কিন্তু অনেক ভারী।’
তবে ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবলে এ সফলতাগুলো যে একেবারেই টেকসই নয়, তা জানে বিসিবিও। তাই তো নতুন বছরে সবকিছু ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডের। প্রয়োজনে কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন করে হলেও সময়ের দাবি মেটাতে চান নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘যে পরিমাণ খেলা, তাতে কোচরা খেলার সময় গিয়ে দলে যোগ দিচ্ছেন। এতে করে খেলোয়াড়দের উন্নয়নে সময় দিতে পারছেন না তারা। এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) প্রোগ্রামে এক ধরনের কোচিং দেয়া হচ্ছে, বাংলা টাইগার্সে এক ধরনের কোচিং, জাতীয় দলে অন্য ধরনের কোচিং দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এখানে একটা সামঞ্জস্য দরকার। এসব বিষয়গুলো নিয়ে একটা মেগা পরিকল্পনা আমরা করেছি। এখন ধাপে ধাপে সেটির প্রয়োগ করতে হবে।’
সেক্ষেত্রে, আবারও ফরম্যাট ভেদে কোচিং স্টাফ আলাদা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। নতুনদের সঙ্গে যেখানে প্রাধান্য পাবেন পুরনোরা।
পাপন বলেন, ‘একজন কোচ দিয়ে হচ্ছে না। নিশ্চিতভাবেই আমাদের আরও কোচ লাগবে। আমরা চিন্তা করছি, আরও কয়েকজন কোচ লাগবে। এরই মধ্যে ৪ থেকে ৫ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা আছে। চূড়ান্ত ফল কিছুদিনের মধ্যেই জানাতে পারব।’
আগামী সিরিজের আগেই ২০২৩-এর মেগা পরিকল্পনার বিস্তারিত ঘটা করে জানাবে বিসিবি।