নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিনখান থানা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর এর উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিনখান থানার ফায়দাবাদ ট্রান্সমিটার এলাকার ইন্টরনেট ব্যাবসায়ী ও কিশোরগ্যাং সর্দার শাকিল আহমেদ তুষারসহ তিন জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে ১ জানুয়ারি দক্ষিনখান থানায় একটি মামলা করেছেন কৃষকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর, মামলা নং ০২।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, বাদী জাহাঙ্গীর টঙ্গী সেনা কল্যান ভবনের একটি গার্মেন্টস্ মেশিনারীর দোকানে কাজ করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধায় দোকানের মালিক দুলাল আরেফিন এর ট্রান্সমিটার রাজনৈতিক অফিসে দোকানের হিসাব বুঝিয়ে দিতে আসেন। সন্ধা ৭.৩০ ঘটিকার সময় কয়েকজন লোক অফিসের সামনে এসে দোকানের মালিক দুলাল আরেফিন এর নাম ধরে গালাগালী করতে থাকে। এমন সময় জাহাঙ্গীর বাড়ির গেট খোলা মাত্রই শাকিল আহমেদ তুষার এর নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর কে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং শাকিল আহমেদ তুষারের হাতে থাকা চাপাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, শাকিল নামে আরেকজন আসামী ধারালো চাকু দিয়ে চোখের ডান পাশে আঘাত করে এবং এলো পাথারি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এতে জাহাঙ্গীর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। জাহাঙ্গীর বাঁচান বাঁচান চিৎকার করিলে অফিস থেকে দুলাল আরেফিন, মাসুম আহমেদ ,নাজমুল হুদা ও মুন্না বের হয়ে আসলে শাকিল আহমেদ তুষার হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুলাল আরেফিন সহ সকলে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
মামলার আসামীরা হলেন, ১, শাকিল আহমেদ তুষার, পিতা আবুল হোসেন ২, মো. শাকিল, পিতা মাকসুদুর রহমান ৩, মো. জামান মজুমদার, পিতা হান্নান ভান্ডারীরসহ আরো অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
দক্ষিনখান থানা কৃষকলীগ নেতা দুলাল আরেফিন বলেন, শাকিল আহমেদ তুষার একজন সন্ত্রাসী। সে স্থানীয় কিশোরগ্যাংদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করেনা, তার বিরুদ্ধে দাক্ষিনখান থানায় সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিনখান থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান আসমীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।