সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের পর পদ হারালেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরীফুল ইসলাম শরীফ। বুধবার (৪ জানুয়ারি) তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অথচ একই অপরাধে অপরাধী হয়েও বহাল তবিয়তে আছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার।
এফ এম শরীফুল ইসলাম শরীফের মতো সাইফারের বিকৃত যৌন ভিডিও চ্যাটিং ভাইরাল হয়ে এখন ফেসবুক আর ইউটিউবে ঘুরছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ বিব্রত। ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার ভিডিও চ্যাটিংয়ে তার বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করছেন একজন নারীকে। ওই নারী তার শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ আবার আওয়ামী লীগ নেতা সাইফারকে প্রদর্শন করছেন। উভয়ে যৌন উত্তেজক কথাবার্তাও বলছেন। হঠাৎ এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ভাবে ক্ষোভ ও বিব্রতকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিকৃত যৌন ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেনের বলেন, এটা দলের জন্য বিব্রতকর। তবে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে সেটি অস্বাভাবিক নয়, তবে এটা ভাইরাল করা ঠিক হয়নি। ঘটনাটির জন্য আমিও লজ্জিত ।
আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের এই ধরনের ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইসতিয়াক আরিফ জানান, এটা দলের জন্য বিব্রতকর, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ব্যক্তি অপরাধের দায় দল নেবে না।