চলতি বছর হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘হজ চুক্তি’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সোমবার (৯ জানুয়ারি)। সব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এবার পূর্ণ কোটায় হজের সুযোগ পাওয়ার আশা বাংলাদেশের।
আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহে উড়বে হজের প্রথম ফ্লাইট। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হাজিদের বিড়ম্বনা লাঘবে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান হজ অ্যাজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব)।
করোনার কারণে ২০২০ এবং ’২১ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সীমিত পরিসরে হজ আয়োজন করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে সে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর আল্লাহু আকবার রবে প্রকম্পিত হয় পবিত্র মক্কা নগরী। যদিও সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেকসংখ্যক সুযোগ পান পবিত্র হজ পালনের। আজন্ম লালিত হজের আশা, অধরা থেকে যায় অর্ধেকের বেশি নিবন্ধিতদের।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, এবার সব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশকে পূর্বের কোটা অনুযায়ী এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীকে হজ পালনের অনুমতি দিতে পারে সৌদি সরকার। এছাড়া এবার থাকছে না বয়সের কোনো সীমাও।
হজের অংশ হিসেবে ৭ থেকে ১২ জিলহজ মক্কা থেকে মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় অবস্থান করতে হয় মুসল্লিদের। তবে সেখানে যাতায়াত, তাঁবু ও খাবারসহ নানা বিষয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অবস্থানকারীদের। এ কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান হাবের।
হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, প্রতি বছরই আমাদের অনেক হজযাত্রীর সেবায় ব্যাঘাত ঘটে। অনেক সময় পাস পেতে দেরি হয়। ২০২৩ সালের হজে মিনা, আরাফাতের ময়দান এবং মুজদালিফায় যাওয়ার জন্য যেন পর্যাপ্ত বাস দেয়া হয়। এছাড়াও যেন পর্যাপ্ত তাঁবু ও প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করা হয়।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখাসাপেক্ষে এবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে জুনের ২৮ তারিখ।