পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মানজনক ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি পুরস্কার’ অর্জন করায় বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আরো উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রতিনিধি দলসহ রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের বিজয়ীরা সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের এক্সট্রা কারিকুলার ইভেন্ট ‘ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মডেল ইউনাইটেড নেশনস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সম্প্রতি দুটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি পুরস্কার’ অর্জন করায় বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আরো উজ্জ্বল হয়েছে। সাক্ষাৎ করতে আসা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বনামধন্য এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি পুরস্কার’ এর ‘গ্লোবাল হাইস্কুল’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তি ছাড়াও বাংলাদেশের একটি এনজিও ‘লোকাল এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ সোসাইটি দুর্যোগ-প্রবণ উপকূলীয় এলাকায় সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করায় ‘পানি’ ক্যাটাগরিতে আরেকটি পুরস্কার অর্জন করেছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজয়ী দলের উদ্ভাবনী কাজের প্রশংসা করে বলেন, এ সাফল্য দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকেও তাদের মেধার সর্বোত্তম ব্যবহার ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা আরো উজ্জ্বল করতে উৎসাহিত করবে।
উল্লেখ্য, পুষ্টি সংরক্ষণে কাজ করায় সম্প্রতি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ এক লাখ মার্কিন ডলারের প্রাইজমানিসহ এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বিজয়ীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।